বাহুতে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর কারণ অনেক এবং ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এটি প্রতিদিনের জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
বাহু ব্যথার কারণ
- পেশি বা টেন্ডনের আঘাত: অতিরিক্ত পরিশ্রম, খেলাধুলা বা হঠাৎ কোনো আঘাতের কারণে পেশি বা টেন্ডনে টান লাগলে বা ছিঁড়ে গেলে বাহুতে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
- বাতের ব্যথা: হাড়ের সংযোগস্থলের প্রদাহ বা আর্থ্রাইটিস হলো বাহু ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ। এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।
- স্নায়ুতে চাপ লাগা: মেরুদণ্ডের কোনো স্নায়ু বা নার্ভে চাপ পড়লে বাহুতে ব্যথা, ঝিনঝিন করা বা অসাড়তা অনুভূত হতে পারে।
- ফ্রোজেন শোল্ডার: এটি একপ্রকার সমস্যা, যেখানে কাঁধের জয়েন্ট জমে যায়, ফলে হাত নাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে এবং তীব্র ব্যথা হয়।
- বারসাইটিস: হাড় ও পেশির সংযোগস্থলে থাকা বারসা নামক তরল–ভরা থলিতে প্রদাহ হলে ব্যথা হতে পারে।
প্রতিকার ও প্রতিরোধ
বাহুর ব্যথা কমাতে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যায়—
বিশ্রাম: ব্যথার সময় বাহুকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন। যে কাজ করলে ব্যথা বাড়ে, তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঠান্ডা বা গরম সেঁক: প্রাথমিক অবস্থায় ঠান্ডা সেঁক দিলে ফোলা ও ব্যথা কমতে পারে। এরপর গরম সেঁক দিলে পেশির টান কমে আরাম মিলবে।
হালকা ব্যায়াম: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম করলে পেশি সচল থাকে। এতে ব্যথা কমতে পারে।
সঠিক ভঙ্গি: দৈনন্দিন কাজ করার সময় সঠিক ভঙ্গি বা ‘পসচার’ মেনে চললে পেশির ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ কমে।