চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দাদের কেনাকাটার জন্য অন্যতম নির্ভরতার স্থান রিয়াজউদ্দিন বাজার। ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটি দেড়শ বছরের পুরোনো। এই বাজারে শাক-সবজি থেকে শুরু করে লাখ টাকা দামের মোবাইল ফোনও মেলে। খুচরার পাশাপাশি চলে পাইকারি বেচাকেনা। বিভিন্ন পণ্যের দামও তুলনামূলক কিছুটা কম। মোবাইল ফোন ব্যবসা ঘিরে এ বাজারে গড়ে উঠেছে বড়োসড়ো চোরাকারবারি চক্র। বাজারটির সুবিধা ও সীমাবদ্ধতার নানান দিক নিয়ে চার পর্বের ধারাবাহিকের আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।
চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে হাত বাড়ালে সহজেই মিলছে চোরাই ও অবৈধপথে আনা মোবাইল ফোন। বাজারের বিভিন্ন ফুটপাত, গলির দোকান আর ইলেকট্রনিক্স শোরুমের আড়ালে চলছে এসব মোবাইল ফোনের অবাধ বেচাকেনা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চোরা কারবারিদের ঠেকাতে জোর নজরদারি নেই, যেন দেখেও দেখে না ‘প্রশাসন’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন চলে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। আবার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ছিনতাই হওয়া ফোন চলে আসছে বাংলাদেশে। দুই দেশের ছিনতাইকারী ও চোরাই ফোন কারবারিদের যোগসাজশে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের চোরাই ফোন বেচাকেনার ‘হাব’ হিসেবে পরিচিত রিয়াজউদ্দিন বাজার।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চোরাই ফোন বেচাকেনার জন্য প্রতিদিন রিয়াজউদ্দিন বাজারে অসংখ্য গ্রাহক ভিড় জমান। তুলনামূলক কম দামে স্মার্টফোন পাওয়া যায় বলে অনেকেই ঝুঁকছেন এ মার্কেটে। এসব ফোনের কাগজপত্র যেমন থাকে না, অনেক সময় ব্যবহার করতে গিয়েও পড়তে হয় বিপদে।