দুর্বল যে পাঁচ ব্যাংক মিলে বড় শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, সেখানে আইনি জটিলতাসহ কিছু চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে। এগুলোর সমাধান না এলে ঝুলে যেতে পারে একীভূতকরণের এই প্রক্রিয়া।
ব্যাংকগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ, আমানতকারী ও পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর শেয়ারধারকদের বিষয়গুলো কীভাবে নিষ্পত্তি হবে, রাজনৈতিক সরকার আসার আগে একীভূতরণ প্রক্রিয়া শেষ করা যাবে কি না, সেসব প্রশ্ন সামনে রেখে আইনি সমাধান খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অবসায়ন না হয়ে একীভূত হলে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, আমানতকারীদের পুরো অর্থ ফেরত দিতে হবে, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে হবে সরকারকে।
অন্য দিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ পুরোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগের প্রথম ধাপে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোতে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে সেদিন মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে প্রশাসক বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’