আমাদের আধুনিক জীবনের মূল চালিকাশক্তিই যেন এখন ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ। শিক্ষা, অফিস, চিকিৎসা, বিনোদন—সবকিছুই এককভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এ দুটির ওপর। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যান্ত্রিক ত্রুটি, সাইবার হামলা কিংবা জাতীয় সংকটের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট বা বিদ্যুৎ-বিভ্রাট অস্বাভাবিক নয়। আর বিদ্যুৎ ছাড়া ইন্টারনেটও ব্যবহার করা যায় না।
বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট বিভ্রাট সাধারণত হয়—
প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, বজ্রপাত)
গ্রিড বিপর্যয় বা জাতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যান্ত্রিক ত্রুটি
সাবমেরিন ক্যাবল বা মোবাইল টাওয়ার নষ্ট হওয়া
সাইবার হামলা বা আন্তর্জাতিক কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট না থাকলে প্রস্তুতি ও করণীয় তুলে ধরা হলো
১. ইন্টারনেটের বিকল্প ব্যবস্থা রাখুন
ব্যক্তিগত মোবাইল হটস্পট এক বা দুই দিনের জন্য উপযোগী হতে পারে। তবে বৃহৎ আকারে সমস্যা হলে মোবাইল টাওয়ারগুলোও নেটওয়ার্কের সমস্যায় পড়বে। এ কারণে অনেকেই এখন স্টারলিংক বা অন্যান্য স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা নেওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কারণে।
হটস্পটের মাধ্যমে আপনার মোবাইল ফোনকে ওয়াই-ফাই রাউটারের মতো ব্যবহার করা যায়। এতে ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারে।
২. ডাউনলোড করে রাখা কনটেন্ট
জরুরি ডকুমেন্ট, ম্যানুয়াল বা শিক্ষামূলক কনটেন্ট অফলাইনে সংরক্ষণ করুন। এর ফলে অফলাইনে থাকলে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নিতে পারবেন।
৩. হ্যান্ডহেল্ড রেডিও
যদি মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে যায়, তখন তথ্য পাওয়ার একমাত্র উপায় হতে পারে রেডিও। তাই এটি ব্যবহার করুন।
৩. কেনাকাটা করে রাখুন
যোগাযোগের জন্য এবং খবর জানতে নিচের জিনিসগুলো কেনা যেতে পারে—
- পাওয়ার ব্যাংক–মোবাইল ফোন বা হটস্পট চার্জ রাখতে কাজে আসবে।
- পোর্টেবল পাওয়ার স্টেশন–ব্যাটারি কাজ করে। ছোটখাটো ডিভাইস চালু রাখতে কার্যকর।
- জেনারেটর সচল রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। তবে ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে—কার্বন মনোঅক্সাইড বিষক্রিয়া মারাত্মক হতে পারে।
- টর্চলাইট রাতের জন্য জরুরি।
- ব্যাটারিচালিত রেডিও–নেট না থাকলেও খবর রাখার মাধ্যম হতে পারে।