স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা শিশুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিকাশগত বিলম্বের লক্ষণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় শিশুর মধ্যে যদি অটিজমের কোনও লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করেন, যিনি অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করেন। এই বিশেষজ্ঞ, একজন শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী, একজন শিশু স্নায়ু বিশেষজ্ঞ, একজন ডেভলপমেন্টাল পেডিট্রিশিয়ান বা উন্নয়নমূলক শিশু বিশেষজ্ঞ হতে পারেন।
যেহেতু অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের লক্ষণ এবং এর তীব্রতা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই রোগ নির্ণয় করা কঠিন হতে পারে। এখানে সুনির্দিষ্ট কোন মেডিকেল পরীক্ষা নেই যা দিয়ে ডায়াগনোসিস করা যাবে। বিশেষজ্ঞ টিম শিশুকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং জিজ্ঞাসা করবেন যে সময়ের সাথে সাথে শিশুটি কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ এবং আচরণের ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছে বা পরিবর্তিত হয়েছে। স্বাভাবিক বিকাশে যদি কোনও সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়, তাহলে কথা,ভাষার ব্যবহার, মানসিক বিকাশ, সামাজিক ও মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়।
শিশুর আরও পরীক্ষা করা হয় যেমন শ্রবণশক্তি পরীক্ষা, রক্তে সীসার মাত্রা পরীক্ষা এবং অটিজমের জন্য স্ক্রিনিং পরীক্ষা। একজন অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ, তিনি স্নায়বিক চেকআপে শিশুটির মানসিক অবস্থা, বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা, উদ্যোগ, পারিবারিক বা জেনেটিক কোন সমস্যা, মৃগী রোগ থাকলে সেগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা করবেন। যেখানে একটি বিশেষজ্ঞদের দল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অটিজম তিন বছরের পূর্বেই ডায়াগনসিস করা যায়। বর্তমানে এমন কিছু জেনেটিক টেস্ট এবং সাইকোলজিক্যাল টেস্ট আছে যার মাধ্যমে একজন বাচ্চার অটিজম তিন বছরের পূর্বেই ডায়াগনসিস করা যায়।
সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম পরীক্ষা হলো ADOS 2 (বারো মাস থেকে প্রাপ্তবয়স্ক)।
অটিস্টিক অবস্থার উন্নতির জন্য কোন ঔষধ নেই। ঔষধ অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের লক্ষণ ভালো করতে পারে না, তবে নির্দিষ্ট ওষুধ লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। কিছু গুরুতর সতর্কতার লক্ষণগুলোর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিসাইকোটিক ও অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধ দিয়ে থাকেন। অন্যান্য মানসিক ওষুধগুলো লক্ষণ দেখে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এখানে একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞের মতামত অবশ্যই থাকতে হবে। কিছু গবেষণা দেখায় যে গ্লুটেন, কেসিন সমৃদ্ধ খাবারে অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুদের অস্থিরতা বেড়ে যায়। গ্লুটেন গম, বার্লি এবং রাইতায় থাকে, কেসিন দুধ, পনির এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যে পাওয়া যায়। উপরের খাবারগুলোয় সীমাবদ্ধ রাখলে শিশু একটি সুষম খাদ্য পাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতে খাদ্য তালিকা তৈরি করে নেয়া উচিত।