বার্গার, পিৎজা, চিকেন ফ্রাই; অর্থাৎ ফাস্ট ফুড নামে পরিচিত খাবারগুলো ছাড়া পৃথিবীর কথা চিন্তা করলে সবকিছু পানসে লাগতে থাকবে। তাই তো? অথচ এগুলোর বিরুদ্ধে সারাক্ষণ নানান কথা শুনতে হয় আমাদের। হ্যাঁ, পৃথিবীতে ফাস্ট ফুডের অস্তিত্বকে যেমন অস্বীকার করা যায় না, তেমনি এর নেতিবাচকতাকেও। এটাই বাস্তব আসলে। এটা সেই ‘জেনেশুনে বিষ পান’ করার মতো অবস্থা।
কিন্তু স্বীকার করতে হবে, ফাস্ট ফুড নামে পরিচিত খাবারগুলো তাদের ইতি ও নেতি—উভয় বাচকতা দিয়ে পৃথিবী জয় করেছে। হয়ে উঠেছে আধুনিক জীবনের সঙ্গী। তাই এর পেছনের গল্পগুলো এখনো আমাদের টানে। সেই গল্পই আজ।
জানেন কি, মিল্কশেক প্রথমে ছিল হুইস্কি আর ডিম দিয়ে তৈরি এক ‘স্বাস্থ্যকর পানীয়’! এরপর এক আমেরিকান তাতে ওয়ালগ্রিনস আইসক্রিম মেশানো শুরু করলেন। তারপর তৈরি হলো আজকের দারুণ সব শেক। আর আমরা তাতে মজে রইলাম। এদিকে অনিয়ন রিং মানে পেঁয়াজের আংটিও নতুন কোনো খাবার নয়। এর ধারণা পাওয়া যায় সেই ১৮ শতকে। বর্তমানের জনপ্রিয় আরেক খাবার টাকোজ কীভাবে এসেছে জানেন? এর ধারণা এসেছে মেক্সিকান খনিশ্রমিকদের খাবারের অভ্যাস থেকে। তাঁরা রুটির সঙ্গে মাংসের সহজ খাবার হিসেবে যা খেতেন, সেখানে থেকে টাকোজের আইডিয়া এসেছে; যা আজ হয়ে গেছে গ্লোবাল ট্রেন্ড।