ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল তুরস্কও নিরাপদে নেই। কিন্তু, কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের বর্তমান নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হলে সেই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়। কেননা, দোহায় হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেছেন, হামাসের নেতারা যে যেখানেই থাকুক না কেন তাদের লক্ষ্য করে হামলা হবেই।
২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট ভোরে ঘটেছিল ঘটনাটি। এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাটির একদিন আগে ইসমাইল হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ইসরায়েল এই হত্যার দায় স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। হামাসের দাবি, এর পেছনে ইসরায়েলের হাত আছে।
হত্যাকাণ্ডের দিন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হামাস ও হিজবুল্লাহসহ ইরানের মিত্রদের ওপর ধ্বংসাত্মক আঘাত হানা হয়েছে।
এই হামলার পর এ কথাই চাউর হতে থাকে যে ইসরায়েল কোনো হামাস বা হিজবুল্লাহ নেতাকে বাঁচিয়ে রাখবে না। তারা যে যেখানেই থাকুক না কেন। সেই সূত্র ধরে এগোলে দেখা যায়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়িপ এরদোয়ানের সরকার ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অনেক আগে থেকেই হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।