প্রতিমা দেখতে সময়মতো মণ্ডপে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু যে বন্ধুর আসার কথা ছিল, তাঁর তো কোনো খবরই নেই। ফোনে রিং বেজেই যাচ্ছে, কিন্তু রিসিভ করছেন না। একা দাঁড়িয়েই প্রতিমা দেখছেন। হঠাৎ পেছন থেকে দুই হাতে চোখ ধরল কেউ। গলার স্বরের অপেক্ষা না করেই আপনি বুঝে গেলেন, আপনি যাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন, তিনিই সেই বন্ধু। কী করে বুঝলেন? তাঁর শরীর থেকে ভেসে আসা চিরচেনা সুগন্ধিই টের পাইয়ে দিয়েছে তাঁর আসার উপস্থিতি।
সুগন্ধি যেমন প্রিয় মানুষের পরিচয় বহন করে, তেমনি সুগন্ধি মানেই নস্টালজিয়া। এই সুগন্ধি গায়ে দীর্ঘক্ষণ রাখার জন্য আমাদের কী কসরত! পূজায় পরিপাটি করে সেজে বেরোনোর পর কতক্ষণ এই সুগন্ধি গায়ে স্থায়ী হবে, তা নিয়ে যত রকম দুশ্চিন্তা। আগেকার দিনে মায়েরা গরম ইস্তিরিতে পছন্দের সুগন্ধি স্প্রে করে শাড়ির আঁচল, ব্লাউজ আয়রন করে নিতেন। এতে সুগন্ধ টিকে থাকত দীর্ঘক্ষণ। কিন্তু এখন তো সেই সময়ের তুলনায় গরম অনেক বেশি পড়ে। ভিড়ভাট্টা, রোদ-বৃষ্টিতে বাইরে থাকার দীর্ঘ সময় যেন সুগন্ধি ক্যারি করা যায়, তাই চলতি ট্রেন্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্রেগনেন্স লেয়ারিং। এতে লং লাস্টিং সুগন্ধির পেছনে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করতে হয় না। পাশাপাশি পছন্দের সুগন্ধিতেই সারা দিন তরতাজা থাকা যায়।