
শেয়ারদর বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেও অন্ধকারে রাখছে প্রতারক কোম্পানি!
সাম্প্রতিক সময়ে একটি ‘সুনির্দিষ্ট কৌশল’ ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে দেখা গেছে। মাত্র দুই সপ্তাহ থেকে দুই মাসের ব্যবধানে কোন কোন শেয়ারের দর দ্বিগুণ হয়েছে। মূলত এক শ্রেণির সুবিধাভোগী কোম্পানি-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিশে অবৈধ সুবিধা নিতে কৃত্রিমভাবে শেয়ারগুলোর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে সুবিধাভোগীরা ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হলেও ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কেউ কেউ দুই-এক মাসের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, বিপরীতে কোটি কোটি টাকার লোকসানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাঁধে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের চোখে ধুলো দিয়ে নিয়মিত প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। তথ্য গোপনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বাড়িয়ে সুবিধা নিচ্ছে কোম্পানি ও বিশেষ ওই শ্রেণি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরাও শেয়ারের দর বাড়িয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের দুর্বলতার কারণে তারা কোনো শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছে না।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- শেয়ার
- শেয়ারবাজার