
রংপুরে মাসে ৯০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে অটোচার্জে
রংপুরে ব্যাটারিচালিত অটো ও চার্জাররিকশা প্রতিদিন তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। সেই হিসাবে প্রতিমাসে ৯০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে অটোচার্জে। চলমান বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় অটোরিকশা চার্জ অনেকটা মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে বিদ্যু নিয়ে বাড়ছে ভোগান্তি।
জানা গেছে, পাঁচ ব্যাটারি সংযুক্ত একেকটি অটোরিকশা চার্জ দিতে প্রতিদিন ১০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। সেই হিসাবে এসব আটো চার্জ দিতে ২৫ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। সেই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অটোরিকশা চার্জ দিতে চলে যাচ্ছে। প্রতিমাসে ৯০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেছনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরীর আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় শতাধিক স্পটে ব্যাটারিচালিত চার্জাররকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইকের এসব গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে। প্রতিটি গ্যারেজে রয়েছে চার্জ দেওয়ার সুবিধা। চার্জে অনেক বিদ্যুৎ লাগে। গ্যারেজগুলোর বিদ্যুতের সংযোগ বৈধ না অবৈধ, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
নগরীর কোথাও কোথাও গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টে বাণিজ্যিকভাবে চার্জ দেওয়া হচ্ছে। অনেকের সেটি করার কোনো অনুমতি নেই। অথচ এমন অসংখ্য অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু অটোরিকশা চার্জার মালিক অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে অটোরিকশায় চার্জ দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো এলাকায় আবাসিক লাইন থেকেও চার্জিং পয়েন্টে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে, যা বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থী। সুষ্ঠু মনিটরিং করলে অবৈধ চার্জ দেওয়া বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন নগরীর সচেতন মহল।
একটি অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন বলেন, তারা ভাড়ায় রিকশা চালান। দিন শেষে গ্যারেজে ৫৫০ টাকা দেন। চার্জ দেওয়া, রিকশার মেরামত, সবই মালিক দেখেন। গ্যারেজে অনেক লাইন থাকে, কিছু মিটারও দেখেছেন। তবে এগুলো বৈধ না অবৈধ, তা তারা জানেন না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সব ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে বলে জানান বিদ্যুৎ বিভাগ। নর্দান ইলেক্টিক সাপ্লাই নেসকো রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, একটি অটোরিকশা চার্জে প্রতিদিন ১০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। বিদ্যুতের একটি অংশ অটোরিকশায় চলে যাচ্ছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ব্যাটারি চার্জ
- অটোরিকশা