মানুষ কখনও কখনও জিনিসপত্র জমিয়ে রাখে। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে ভেবে, অথবা ফেলে দিতে কষ্ট হয় বলে অনেকেই করেন এই কাজ।
তবে এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, সেটা হয়ে ওঠে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুতর সমস্যা; যাকে বলা হয় ‘হোর্ডিং ডিজঅর্ডার’।
২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত ব্যাধি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর আগেই ‘আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন’ তাদের মানসিক রোগের নির্দেশিকায় এই সমস্যার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
এই ব্যাধির শিকার মানুষরা ঘরে অকারণে জিনিসপত্র জমিয়ে রাখেন। পোশাক, বই, খেলনা, গৃহস্থালির সরঞ্জাম যা-ই হোক না কেন, তাদের কাছে প্রতিটি জিনিস মনে হয় দরকারী।
ফেলে দিতে না পারার মানসিক সংকট ধীরে ধীরে তাদের ঘরকে অগোছালো করে তোলে এবং জীবনযাত্রায় চরম অস্বস্তি ও ঝুঁকি তৈরি করে।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: জিনিসের ভিড়ে আটকে যাওয়া জীবন
৫৩ বছর বয়সি মার্কিন নাগরিক কিম প্রথমে বুঝতেই পারেননি তার অভ্যাস কতটা ভয়াবহ হতে পারে। তিনি গ্যারেজ সেলের শেষদিকে গিয়ে বিনা মূল্যে পড়ে থাকা জিনিসপত্র গাড়িতে বোঝাই করে আনতেন। পরিবার বা আত্মীয়রা যখন তাকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে বলত, তিনি সেগুলোও জমিয়ে রাখতেন।
সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কিম বলেন, “প্রথমে শোবার ঘরের চারপাশে জিনিসপত্র রাখা শুরু হলেও ধীরে ধীরে বসার রুম ও বারান্দা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে যখন ঘরের ভেতরে চলাফেরার পথ সরু হয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠল, তখন উপলব্ধি করলাম এটি কেবল শখ নয়, এটি একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা।”