You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু : উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা

ডিজিটাল যুগে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রই আজ প্রযুক্তিনির্ভর। ডিজিটাল রূপান্তরের যুগে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিটি দেশের জন্যই বড় একটি চ্যালেঞ্জ। ব্যাংকিং, ই-কমার্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সরকারি সেবা সবকিছুই এখন অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে ডিজিটাল যুগে তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবন ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমকে যেমন সহজ করেছে, তেমনি এনেছে নতুন ধরনের ঝুঁকি। সেই ঝুঁকির নাম সাইবার অপরাধ।

বিশ্বে উন্নত দেশগুলো যেমন জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা সাইবার হুমকি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নিয়েছে, তেমনি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশও ধীরে ধীরে এই যাত্রায় এগোচ্ছে। তবে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের অবকাঠামো, জনসচেতনতা ও নীতিমালা এখনো অনেক পিছিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশে এ খাতটি এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে বাড়েনি নিরাপত্তা সচেতনতা। অনেক ব্যবহারকারীই জানেন না কীভাবে নিরাপদে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়, সফটওয়্যার আপডেট রাখা কেন জরুরি কিংবা ফিশিং ইমেইল কীভাবে চেনা যায়। এর ফলে সহজেই ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হচ্ছে, হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে আর্থিক লেনদেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ব্যাংকিং খাতে সাইবার হামলা, ফিশিং এবং ডেটা চুরির মতো ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা দেশের সাইবার নিরাপত্তার দুর্বলতাকে বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামো এখনো পরিপক্ব নয়।

বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি) গঠন করা হয়েছে সাইবার হুমকি মোকাবিলার জন্য। তবুও অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল, সচেতনতার অভাব এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা এই খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

উন্নত দেশগুলো সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। এই দেশগুলোয় শক্তিশালী আইনি কাঠামো, উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জাপানকে ধরা যাক। দেশটি সাইবার নিরাপত্তাকে জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে নিয়েছে। তাদের রয়েছে NISC নামে শক্তিশালী সংস্থা, যা নিয়মিত কৌশলগত পরিকল্পনা ও মহড়া পরিচালনা করে।

টোকিও অলিম্পিকের আগে জাপান বিপুল বিনিয়োগ করে সাইবার প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরাও সেখানে সাইবার সচেতনতার প্রশিক্ষণ পান।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও শক্তিশালী। বিশ্বসেরা প্রযুক্তি শক্তি হিসেবে তারা সাইবার নিরাপত্তায়ও এগিয়ে। NSA ও CISA এর মতো সংস্থা জাতীয় পর্যায়ে কাজ করছে। প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার বাজেট কেবল সাইবার প্রতিরক্ষার জন্য বরাদ্দ হয়। কঠোর আইন, অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ এবং আধুনিক প্রযুক্তি তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

যুক্তরাজ্যে রয়েছে NCSC। তারা শুধু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, সাধারণ নাগরিকদেরও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শ দেয়। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হ্যাকিংয়ের শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। আইনের প্রয়োগও সেখানে খুবই কার্যকর।

অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে ACSC, যারা ২৪ ঘণ্টা সাইবার ইনসিডেন্ট মনিটর করে। তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট নিরাপত্তা মান বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। অপরাধীরা দ্রুত আইনের আওতায় আসে। ফলে ব্যবসায়িক পরিবেশ অনেকটা নিরাপদ থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন