যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিকের কেবল বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্টই ছিল না, তিনি এ দেশের একজন নিয়মিত করদাতাও ছিলেন।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, তিনি অন্তত এক দশক ধরে বাংলাদেশে নিয়মিত আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি আয়ের খাত হিসেবে ‘ব্যবসা/পেশার আয়’ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কী ব্যবসা বা পেশা, সেটার উল্লেখ নেই। কেবল একটি অর্থবছরে মাছের ব্যবসার কথা উল্লেখ রয়েছে।
টিউলিপের নামে ঢাকার গুলশানে একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে। কিন্তু আয়কর নথিতে ওই ফ্ল্যাটের কথা তিনি উল্লেখ করেননি। প্রায় দুই যুগ আগে তাঁর নামে নিবন্ধিত ওই ফ্ল্যাট একটি আবাসন কোম্পানি থেকে টিউলিপ ‘অবৈধ সুবিধা’ হিসেবে নিয়েছেন, এমন অভিযোগে গত এপ্রিলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে।
টিউলিপ বাংলাদেশি নাগরিক নন, কেবলই ব্রিটিশ—তিনি অনেক দিন ধরে এমন দাবি করে আসছেন। প্রথম আলো ও যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য টাইমস গত বৃহস্পতিবার টিউলিপের বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্ট থাকার সত্যতার বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমে টিউলিপ-কেন্দ্রিক আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে নিয়মিত আয়কর দেওয়া, নিজ নামে ফ্ল্যাট নিবন্ধন করাসহ নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রমাণের বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বক্তব্য জানতে চেয়ে যুক্তরাজ্যে তাঁর আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউডের কাছে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে গত ৩১ আগস্ট ই-মেইল করা হয়। এরপর দুই দফা তাগাদা দিয়ে ই-মেইল করা হয়। কিন্তু কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।