দেশের সিনেমা হলের সংখ্যা দিন দিন কমছে। ঢালিউডের সুদিন ফেরার আশায় যারা লোকসান মেনেও প্রেক্ষাগৃহ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারাও একে একে হাল ছেড়ে দিচ্ছেন। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স। বন্ধ হওয়ার পথে দেশের প্রথম সিনেপ্লেক্স লায়ন সিনেমাস। দেশের বৃহত্তম প্রেক্ষাগৃহ মণিহারও তালা ঝুলিয়েছে। এবার দুঃসংবাদ এলো দিনাজপুর থেকে। সেখানকার শেষ সিনেমা হলটিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
১৯৫৭ সালে চালু হওয়া মডার্ন সিনেমা হলটি আর ধরে রাখতে পারছেন না কর্ণধার এসএম পারভেজ। দীর্ঘদিন লোকসানের বোঝা বইতে বইতে তিনি এখন হলটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হলের ব্যবস্থাপক মো. রেজা জানান, ঈদের পর থেকে পুরোনো ছবিই চালানো হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোতে দর্শক নেই। নতুন ছবি এলেও দর্শক আসে না। এখন চলছে ‘নন্দিনী’, নেই দর্শক। এমনও দিন গেছে, দিনের পর দিন শো বন্ধ রাখতে হয়েছে। বর্তমানে হলটিতে চার-পাঁচজন কর্মী আছেন। তারাও যাপন করছেন মানবেতর জীবন।