You have reached your daily news limit

Please log in to continue


অন্যায্যভাবে কি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়?

বিচারক যখন আইনের মূল চেতনার পরিবর্তে এর আক্ষরিক প্রয়োগে অগ্রাধিকার দেন, তখন সচেতনভাবে কিংবা অবচেতনে আইনের মূল উদ্দেশ্য যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, তা থেকে সরে আসেন।

আমরা যখন তাড়াহুড়ো করে কোনো পরিবর্তন চাই, তখন এর প্রক্রিয়া নিয়ে খুব একটা ভাবি না। যার ফলে সেই পরিবর্তন টেকসই হয় না। যখন আমরা সর্বত্র ন্যায়বিচার চাই, কিন্তু আইনি খুঁটিনাটি বা যথাযথ প্রক্রিয়া উপেক্ষা করি, তখন ন্যায়বিচারের পূর্বশর্ত যে ন্যায়পরায়ণতা, সেটা নিশ্চিত হয় না।

যখন আমরা একসঙ্গে অনেক অপরাধীকে শাস্তি দিতে চাই, কিন্তু আসামির অধিকারের বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিই না, তখন সেটি প্রতিশোধপরায়ণতার ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে জনমনে বিচার প্রক্রিয়া ও এর ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করে।

আমরা সেই প্রবাদ ভুলে যাই—শুধু ন্যায়বিচারই যথেষ্ট নয়, সেটা দৃশ্যমানও হতে হবে। করণীয় খুবই পরিষ্কার—আইনভঙ্গকারীকে শাস্তি দিতে গিয়ে নিজেরা আইন ভাঙতে পারব না; ক্ষমতার অপব্যবহারকারীকে জবাবদিহি করতে গিয়ে নিজেরা ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারব না। বাস্তবতা হলো, অন্যার্যভাবে কখনোই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

আমরা এখন আইনের ভয়াবহ অপব্যবহার দেখছি—কিছু মানুষকে একত্রিত করে মব তৈরি করলেই আইনের ঊর্ধ্বে যাওয়া যায়। এমনকি কাউকে পিটিয়ে হত্যা করলেও সরকারের বিবেক যেন নড়ে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে কেবল কিছু শব্দ ব্যবহার করলেই চলে, তথ্য যাচাইয়ের দরকার হয় না। বহু মানুষকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং বিচার বা জামিন ছাড়াই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা জেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে পতিত সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। তাদের অপরাধের প্রমাণও প্রচুর রয়েছে। কিন্তু তারপরও তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত মোট এক হাজার ৭৩০টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩১টি হত্যা মামলা। কিন্তু ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩৪টি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, যার মধ্যে ১৩টি হত্যা মামলা। (আইসিটি আইনের মামলাগুলো এখানে ধরছি না।)

তাহলে বাকি মামলাগুলোর কী হবে? কেন এসব মামলার আসামিরা অপ্রমাণিত অপরাধের লাঞ্ছনা নিয়ে বাঁচতে বাধ্য হবে? বিশেষ করে যখন তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে তদন্তই শেষ হয়নি?

সরকারও জানে যে, ভুয়া মামলা করে পরবর্তীতে টাকা নিয়ে আসামি তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার এক ধরনের চাঁদাবাজি ব্যবসা গড়ে উঠেছে। আরও দুঃখজনক হলো, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়—বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়—জানে যে, ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আর্থিক বিরোধ ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে মামলা হচ্ছে।

যদি ক্ষমতাবান কোনো রাজনৈতিক দল বর্তমানে দুর্নামগ্রস্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতাকর্মীদের শাস্তি দিতে চায়, তাহলে ভুয়া মামলার সংখ্যা মুহূর্তেই পাহাড়সম হয়ে যায়। ক্ষমতাসীনরা কখনোই সেগুলো নিয়ে চিন্তিত না। আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে হয়রানি ও হেয় করাও এর একটি বড় কারণ।

যেহেতু ভুয়া মামলা করার কোনো শাস্তি নেই এবং উল্টো এটা অর্থ উপার্জনের সুযোগ হয়ে উঠেছে, তাই ভুয়া মামলা দায়েরের প্রবণতা দ্রুত বেড়েছে—বিশেষ করে যখন সরকারের অবস্থান হলো, 'যে কেউ মামলা করতে পারে, এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন