You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ঐকমত্যের জন্য আর কতকাল অপেক্ষা

পথ চলতে চলতে হঠাৎ দেখা হয়ে যায় কারও কারও সঙ্গে। একই প্রশ্ন শুনছি জন্মাবধি—কেমন আছ বা আছেন। একই উত্তর দিয়ে যাই—ভালো আছি। আসলে কি আমরা ভালো আছি? ভালো থাকার জো আছে? 

চারদিকে অভাব। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। একবার বাড়লে আর কমার নাম নেই। বেতন কমিশন, মহার্ঘ ভাতা—এসব আছে বড়জোর শতকরা ৫ ভাগ কর্মজীবীর জন্য। সংখ্যাটা আরও কম হতে পারে। অন্যদের চলছে কীভাবে? দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে রাষ্ট্র তাই অপ্রাসঙ্গিক। কারণ, এই প্রতিষ্ঠান তাঁদের উপকারে আসে না। 

রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে যাঁরা খাচ্ছেন, তাঁদের কাছে যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, তার একটি হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনটা আসলে কী? রাষ্ট্রের ধারক-বাহকেরা বলে থাকেন, এটি হচ্ছে সর্বরোগের মহৌষধ। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে সমাজে স্থিতি আসে, শৃঙ্খলা থাকে, রাষ্ট্র চলে সুন্দরভাবে। চারদিকে শুধু শান্তি আর শান্তি! 

১৯৭৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা ১২টি নির্বাচন দেখেছি। যাঁরা নির্বাচনের ফসল ঘরে তুলেছেন, তাঁরা সবাই সেগুলোর প্রশংসা করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁরা নাগরিকদের ম্যান্ডেট পেয়েছেন। তাঁদের কাছে ম্যান্ডেট হলো—যা খুশি করার স্বাধীনতা। এটা করতে গিয়ে তাঁরা সংবিধানের ওপর চড়াও হয়েছেন, কাটাছেঁড়া করে তার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। যাঁরা যেটা করেছেন, তাঁরা সেটির পুনর্বহাল চান। 

সংবিধানের প্রসঙ্গ যখন উঠল, তখন একটি কথা না বললেই নয়। এটি নাকি একটি পবিত্র গ্রন্থ। আমাদের দেশের আনাচকানাচে অনেক ‘পবিত্র’ লুকিয়ে আছে। এই যেমন পবিত্র সংবিধান, সুপ্রিম কোর্টের পবিত্র অঙ্গন, পবিত্র বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, পবিত্র জাতীয় সংসদ। পবিত্রের ছড়াছড়ি। তারপরও কেন জানি মনে হয়, দেশটা একটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে; আর তার দখল নেওয়ার জন্য চলছে কামড়াকামড়ি।

গত ১২টি নির্বাচনের একটি সুরতহাল প্রতিবেদন করলে কেমন হয়? অনেকেই তো অনেক কিছুর জন্য শ্বেতপত্র দাবি করেন। নির্বাচন নিয়ে এ রকম একটি হতে পারত, হয়নি। যারা নির্বাচনে ‘জেতেন’, তাঁরা মনে করেন, এর চেয়ে ভালো নির্বাচন আর হয় না। জনগণের ম্যান্ডেট নাকি তাঁদের পেছনে। আসলে কী? আমরা যদি কাগজের পাতায় চোখ বোলাই আর মানুষের অন্তরের কথা শুনি, তাহলে দেখব, নির্বাচনগুলো ছিল দখলদারি আর লুটপাটের ইজারা স্বত্ব। তাই যদি না হয়, তাহলে আজ কেন আমরা নতুন বন্দোবস্তের কথা বলি? 

নতুন বন্দোবস্তের কবলে পড়েছে রাষ্ট্র, সংবিধান ও নির্বাচন। বন্দোবস্তটা কী, তা এখনো পরিষ্কার হয়ে ওঠেনি। শহরের কিতাব পড়া মধ্যবিত্ত একরকম বোঝেন আর শহরের গরিব-গুর্বা আর গ্রামের চাষারা বোঝেন অন্য রকম। শহুরে মধ্যবিত্তের মধ্য থেকে গজিয়ে ওঠা রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, সুফি আর চিন্তকেরা যেভাবে ব্যাখ্যা করেন, তাতে মনে হয়, তাঁরাই সঠিক কথা বলছেন, মানবমুক্তির ধন্বন্তরির দাওয়াইটা তাঁদের হাতেই।

তাঁদের কথামতো চললেই দেশটা বেহেশতের বাগান হয়ে যাবে। এ নিয়ে তাঁদের আছে নানান ইশতেহার কিংবা ডিসকোর্স। এখন এই ইশতেহার ও ডিসকোর্স নিয়ে বেঁধে গেছে ফ্যাসাদ। কেউ কারোটা মানেন না। মীমাংসার জন্য বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নাগরিকেরাই রায় দেবেন, কোনটা তাঁদের পছন্দ আর কোনটা অপছন্দ। 

নির্বাচনে যাঁদের সুবিধা হবে না, তাঁদের তূণেও আছে তির। তাঁরা বলেন, নির্বাচনে মুক্তি নেই। নির্বাচনে একটি দলের বদলে আরেকটি দল আসবে। এ হচ্ছে জ্বলন্ত উনুন থেকে ফুটন্ত কড়াইয়ে পড়া। এসবের কী দরকার। এ মুহূর্তে দরকার একটি বিপ্লবী সরকার। 

১২টা নির্বাচনের পর একটি গণবিদ্রোহের দেখা মিলেছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। কেউ কেউ এটাকেই বলছেন বিপ্লব। এই অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়েই নাকি ক্ষমতায় আছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু বাস্তবে কী দেখছি? যাঁরা এই বিদ্রোহে শামিল হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে এখন অনেক ফেরকা। তাঁরা শুধু পরস্পরের সমালোচনা করছেন না, রীতিমতো তুলাধোনা করছেন। একদা সহযাত্রী এখন ভয়ংকর শত্রু। বছর না পেরোতেই এই বিভাজন হয়ে গেল সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহতম অ্যান্টি-ক্লাইমেক্স। কেন এমন হলো?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন