জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। তবে একীভূত হওয়া নিয়ে দুই দল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
দুই দলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনাটা হচ্ছে, আমরা আলাদা একটা ব্লক হতে চাই। বিএনপির একটা ব্লক আছে। জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামপন্থী দলগুলোরও একটা ব্লক করার চেষ্টা চলছে। আমরাও আমাদের সমমনাদের নিয়ে একত্র হওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সামনে একসাথে আগাতে পারব কি না, সে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সারোয়ার তুষার মনে করেন, দুটো দল একসঙ্গে কাজ করলে দেশের মানুষের কাছে একটি ভালো বার্তা যাবে। তিনি বলেন, ‘একীভূত কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে যদি তরুণেরা একই প্ল্যাটফর্মে আসে, তাহলে অবশ্যই সেটা সারা দেশের মানুষকে একটা ভালো মেসেজ দেবে। বড় দলগুলোর ওপর অনাস্থাজনিত কারণে সারা দেশের মানুষ একটা বিকল্প চাইছে, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের মানুষ একটা ভরসা পাবে। আজ অথবা কাল এই তরুণেরাই তো বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। সেদিক থেকে এটা একটা ভালো বার্তা দেবে বলে আমার ধারণা।’