মানুষ কেন অপরাধে জড়ায়?

ঢাকা পোষ্ট মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫

মানুষ কেন অপরাধ করে? মানুষের অপরাধ করার পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে? একজন অপরাধীকে অপরাধ সংঘটনের পেছনে কে বা কারা প্ররোচনা দেয়? অপরাধ সংঘটনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ভূমিকা কী? অপরাধী কীভাবে অপরাধ সংঘটনে আগ্রহী হয়ে ওঠে? ইত্যাদি প্রশ্নগুলো বৈজ্ঞানিক উপায়ে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের লক্ষ্যে অপরাধবিজ্ঞানের তত্ত্বসমূহ জানা অত্যন্ত আবশ্যক।


বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অপরাধ প্রতিকার ও প্রতিরোধের বিপরীতে ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে অপরাধ সংঘটনের বিজ্ঞানভিত্তিক কারণসমূহ জানা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক তথ্য উপাত্ত এবং তত্ত্বের সংযোজনই পারে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক পর্যায়ে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে ধাবিত করতে।


বিশ্বজুড়ে অপরাধের ভয়াবহতা ও বৈচিত্রতা বাংলাদেশকে আক্রান্ত করেছে। সংগত কারণেই অপরাধ সংঘটনের কারণসমূহ বিশদভাবে জানার দরকার রয়েছে।


অপরাধপ্রবণতা মানুষের একটি মজ্জাগত বিষয়। যথেচ্ছ সুযোগ পেলে অধিকাংশ মানুষই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। অপরাধের সুযোগ পেয়ে অপরাধ সংঘটনে বিরত থেকেছে এমন মানুষের সংখ্যা অপ্রতুল। অপরাধবিজ্ঞানের Opportunity Theory, Rational Choice Theory তত্ত্বে যথেষ্ট সুযোগের প্রাপ্যতা ও উপযুক্ত টার্গেটের সহজলভ্যতা অপরাধ সংঘটনের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।


যেকোনো সংঘটিত অপরাধের কার্যকারণ যদি উপস্থাপন করা হয় তাহলে দেখা যাবে, উপযুক্ত মালিকের অনুপস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি, সিসিটিভি ক্যামেরার আওতামুক্ত এলাকা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর অনুপস্থিতি প্রভৃতি কারণে অপরাধীরা অপরাধ সংঘটনের সুযোগ পাচ্ছে এবং সুযোগ বুঝেই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।


অপরাধীরা সাধারণত তাদের প্রয়োজন, চাহিদা, অধিক লাভের আশায়, ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই অপরাধ সংঘটিত করার ব্যবস্থাপনাকে টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে, সময়ের সাথে সাথে অপরাধীরা আগের যেকোনো সময় থেকে চালাকচতুর হয়ে উঠছে।


অপরাধ সংঘটনের আলামত ধ্বংস করে নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করছে অপরাধীরা। কাজেই, সহজলভ্য সুযোগকে কঠিন করে তোলা ও উপযুক্ত টার্গেটকে করায়ত্ত করার পথে বাঁধা হিসেবে দাঁড়াতে পারলেই অপরাধ বহুলাংশে কমে আসবে।


পৃথিবীতে এমন কোনো সমাজব্যবস্থা নেই যেখানে অপরাধ ও অপরাধী নেই। সংগত কারণেই অপরাধের আধিক্য ও অপরাধীর উপস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই সমাজ কাঠামো নির্মিত হয়। কেননা প্রত্যেক সমাজ কাঠামোগতভাবে অপরাধমুক্ত ও নাগরিকের জন্য নিরাপদ করার ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও