
২৪ বলের মধ্যে ১৬টি ‘ডট’—নাসুমের ‘উপহার’
কিংসটাউনে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচটা নাসুম আহমেদের নিশ্চয়ই মনে আছে? সেবার তিনি দলে ছিলেন না। তবে সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণসমৃদ্ধ ম্যাচটা নাসুমের নিশ্চয়ই দেখার কথা। বাংলাদেশ সেই ম্যাচ হেরেছিল ৮ রানে, বাদ পড়েছিল সেমিফাইনালে ওঠার দৌড় থেকে।
আবুধাবিতে গতকাল সেমিফাইনাল নয়, সামনে ছিল সুপার ফোরের সমীকরণ। সেখানে ওঠার আশা টিকিয়ে রাখতে জিততেই হবে—এমন ম্যাচে প্রতিপক্ষ-ও সেই আফগানিস্তান। নাসুম এবার দলে, শুধু দলে কেন নতুন বলও হাতে। বাকিটা আপনি জানেন। বাংলাদেশ এবার জিতেছে, সেই ৮ রানেই!
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার আশা এখনো টিকে আছে। কালকের ম্যাচের স্কোরকার্ড দেখে বলতে পারেন, সেটা আসলে ম্যাচসেরা নাসুমের কল্যাণে।
কীভাবে—তা একটু ব্যাখ্যা করা যাক। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৮৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এখান থেকে ২০০ ছুঁই ছুঁই স্কোরের স্বপ্ন দেখা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। কিন্তু পরের ১০ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে মাত্র ৬৭ রান—যেখানে শেষ ১২টি বলের মধ্যে ৬টি ‘ডট’। এই দুই ওভারে রান উঠেছে ১৫, উইকেট ১টি।
বিষয়টি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শেষটা মোটেও ভালো হয়নি। শুকনো মুখে মাঠ ছেড়েছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জাকের আলী ও নুরুল হাসান। এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষটা ভালো করতে না পারলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ নিয়ে নামতে হয় ফিল্ডিংয়ে। প্রতিপক্ষের জন্য সেটা আবার উল্টো পরিস্থিতি। শেষ ১০ ওভারে বোলিং করে ম্যাচে মানসিকভাবে তখনই এগিয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান। স্কোরবোর্ডে ১৫৫ রানের লক্ষ্য। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের এই রান টপকে জয়ের নজির না থাকলেও শেষটা ভালো করায় রশিদ খানদের কাছে কাজটা মোটেও কঠিন লাগার কথা না!