বিশ্রামে ২২৭ কোটির বিশ্রামাগার

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি। ফলে বিশ্রামাগারগুলোই তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বিশ্রামে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালকদের একটানা গাড়ি চালানোর ধকল কমাতে তাঁদের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০১৯ সালে চারটি মহাসড়কে আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। কুমিল্লার নিমসার, সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া, মাগুরার লক্ষ্মীকান্দর ও হবিগঞ্জের জগদীশপুরে ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চালকদের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। এগুলোর নির্মাণকাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নকশা পরিবর্তন, অতিরিক্ত তলা সংযোজন এবং দফায় দফায় সময় বাড়ানোর কারণে নির্মাণ শেষ হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এসব বিশ্রামাগারে রয়েছে শয়নকক্ষ, গোসলখানা, পার্কিং, ক্যানটিন, চিকিৎসাকক্ষ ও বিনোদনকেন্দ্রসহ আধুনিক সব সুবিধা। কিন্তু অবকাঠামো প্রস্তুত হলেও তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। চালকেরা ব্যবহার করতে পারছেন না।

সংশ্লিষ্ট চারটি সড়ক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের বিশ্রামাগার ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, শেষ হতে আরও দুই মাস লাগবে। কুমিল্লারটির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। মাগুরারটির প্রকল্প হস্তান্তর ও নির্দেশনা না আসায় কাজ শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এলে হবিগঞ্জেরটির দরপত্র দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।

পণ্যবাহী গাড়িচালকদের জন্য পার্কিং সুবিধাসংবলিত বিশ্রামাগার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে সওজের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব বিশ্রামাগার ইজারা, অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বা বিভাগীয় ব্যবস্থায় তিন বছরের জন্য চালানো যেতে পারে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, তা চূড়ান্ত করতে না পারায় প্রকল্প ঝুলে আছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সভায় কার্যকর সিদ্ধান্ত আসেনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও