ছোট জায়গা মানেই সৃজনশীলতার জন্য আরও সুযোগ। শরৎকালের আগমনে ঘর সাজানোর আনন্দই আলাদা।
অনেকেই এই সময়ে প্রিয় শীতল চাদর, কুশন, আর ঘ্রাণমাখা মোমবাতি ব্যবহার করে বাড়িকে আরামদায়ক করে তোলেন।
তবে যারা ছোট বাসায় থাকেন, তাদের জন্য সাজসজ্জার কাজটা কখনও কখনও সীমাবদ্ধ মনে হতে পারে।
অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরিন বলেন, “ছোট জায়গার ঘরগুলোকে বহুমুখীভাবে ব্যবহার করতে হয়। অনেক সময় এগুলো শুধুই কার্যকরী মনে হয়, তবে হয়ে ওঠে আনন্দহীন। অথচ সঠিক সাজসজ্জার মাধ্যমে জায়গা বড় দেখাতে ও উষ্ণতা যোগ করে বরং নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা যায়।”
কুশনের জাদু যোগ করা
কুশন সবসময়ই বসার ঘরকে উষ্ণতা ও গভীরতা দেওয়ার অন্যতম উপাদান। কয়েকটি সুন্দর কুশন মুহূর্তেই ঘরে প্রাণ যোগ করতে পারে।
ঘ্রাণে ভরিয়ে তুলুন পরিবেশ
ঘ্রাণের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরের পরিবেশকে বদলে দেওয়া যায়।
গুলশান নাসরিন পরামর্শ দেন, “মোমবাতি বা এসেনশল অয়েলের মিশ্রণ পাল্টে শরতের উপযোগী করে নিতে পারেন। এতে ঘরে উষ্ণতা আসবে। কারণ গন্ধ অনুভূতিকে সরাসরি প্রভাবিত করে।”
প্রাকৃতিক উপাদান ঘরে আনা
শরৎ প্রকৃতির উপাদানকে ঘরে আনার আদর্শ সময়।
গুলশান নাসরিন বলেন, “শরতের বিভিন্ন ফুল, যেমন- দোলনচাঁপা, কাশ, শিউলি, পদ্ম, শাপলা, জুঁই, কেয়া, বকুল, বেলি, দোলনচাঁপা, শালুক, মালতী, জবা, কামিনী, মাধবী ও মল্লিকা সংগ্রহ করে ফুলদানিতে সাজাতে পারেন বা ফুল দিয়ে বইয়ের তাক সাজাতে পারেন।”