পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল দুই দিনের সফরে আজ রোববার বাংলাদেশে আসছে। এই সফরকালে পাল্টা শুল্ক নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির খসড়া ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরও কমানো এবং দেশটির তুলা ব্যবহার করে তৈরি পোশাকে শুল্কছাড়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে এসব জানা গেছে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর ইউএসটিআরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ। সূত্র বলেছে, প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনায় পাল্টা শুল্ক আরও ৫ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার ওপর জোর দেবে বাংলাদেশ।
জানা যায়, দর-কষাকষির পর গত ৭ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ হলেও দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি হয়নি। তবে গত মাসে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ওয়াশিংটন সফরকালে ইউএসটিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার ভিত্তিতে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এখন সে খসড়া নিয়ে অধিকতর আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত পাল্টা শুল্ক কমানোর বিষয়েও আলোচনা হবে।
ইতিপূর্বে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দর-কষাকষি চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনো পণ্যে যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ন্যূনতম ২০ শতাংশ তুলা ব্যবহার করা হয়, তবে ওই ২০ শতাংশের ওপর পাল্টা শুল্ক পুরোটাই মওকুফ হবে। এ ছাড়া ২০ শতাংশের বেশি যতটুকু তুলা ব্যবহার করবে, তার পুরোটার ওপরও শুল্ক মওকুফ হবে। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, এ সুবিধা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, এর পদ্ধতি কী হবে, তুলা ব্যবহারের বিষয়টিই বা কে যাচাই করবে—এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে।