অভ্যুত্থানের নৈতিক ভিত্তি প্রশ্নের মুখে ফেলছে কারা

প্রথম আলো এ কে এম জাকারিয়া প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৫

একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আফটার শক বা পরাঘাত থাকে। এই পরাঘাতগুলো মূল ভূমিকম্পের কারণে আশপাশে যে বিচ্যুতি তৈরি হয়, সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে। বিজ্ঞানের সূত্র বলে, ভূমিকম্পের পর প্রথম দিন পরাঘাতের যে হার, পরের দিন তা অর্ধেকে নেমে আসে। এই হারে পরাঘাত কমতে থাকে। 


একটি রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানও ভূমিকম্পের মতোই অনেক পরাঘাতের জন্ম দেয়। এগুলো গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে ভূমিকা রাখে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বছর পার হয়েছে, স্বাভাবিকভাবে এত দিনে পরাঘাতের হার কমতে কমতে মিলিয়ে যাওয়ার কথা।


কিন্তু দেশের রাজনীতিতে যা ঘটছে, তাতে তেমন মনে হচ্ছে না। বোঝা যায়, অস্বাভাবিকভাবে হলেও কোনো কোনো পক্ষ বা রাজনৈতিক শক্তি পরাঘাত অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা মনে হয় এটা বুঝতে পারছে না যে গণ-অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতিতে যা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য ছিল, এক বছর পর এখন আর তা নয়। 


বলা হয়, প্রেম ও যুদ্ধ বা বিপ্লবে সবই ন্যায্য। কিন্তু এরপরও কোথায় বা কখন থামতে হয়, তার একটা সীমা থাকে। জার্মান-আমেরিকান রাষ্ট্রচিন্তাবিদ হার্বার্ট মার্কুয়েস মনে করেন, যেকোনো সহিংস বিপ্লব ন্যায্য হতে পারে, কিন্তু যদি তা দ্রুত শেষ না হয়, তবে বিপ্লব তার নৈতিক ভিত্তি হারাতে পারে।


বাংলাদেশে ৫ আগস্ট কোনো বিপ্লব হয়নি, সহিংস পথে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনের চেষ্টা করেছিল উল্টো হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার। এর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যেকোনো প্রতিরোধই ছিল ন্যায্য। সেটাই গড়ে তুলেছিল ছাত্র-জনতা। গণ-অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে জরুরি কাজটি ছিল দ্রুত সব ধরনের সহিংসতা, সংঘাত ও বিরোধের অবসান ঘটানো। কিন্তু তা হয়নি, বরং এটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট যে কোনো কোনো পক্ষ ইচ্ছা করেই তা জিইয়ে রাখতে চাইছে।


এসব কারণে বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানের নৈতিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের পতিত ও পরাজিত শক্তি এবং তাদের সমর্থকেরা এরই মধ্যে সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও