
কোন আঁধারের আমন্ত্রণে
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললেই আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিস্টের ‘দোসর’ তকমা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্তা তো বটেই, কখনো কখনো ব্যক্তি বা জনসমষ্টির ওপর সরাসরি আক্রমণের ঘটনাও ঘটানো হচ্ছে। একই রকমভাবে আক্রান্ত হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় বিশেষ মতবাদের বিপক্ষের ব্যক্তি-গোষ্ঠী এবং নারীসমাজসহ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিতর্ক, মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল বা ভাস্কর্য ধ্বংস করার মতো বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী লীগ শাসনের অবসানের পর থেকে দলটির সঙ্গে একাত্তরকে মিলিয়ে খোদ স্বাধীনতাযুদ্ধকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছিল ‘মব’ (উন্মত্ত কিছু মানুষের সংঘবদ্ধ আক্রমণ) সৃষ্টি করে ভাস্কর্যসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মারক এবং মাজার ভাঙার তাণ্ডব। ভাস্কর্য-মাজার ইত্যাদি ভাঙচুর এবং বাউল, ফকির-সন্ন্যাসী, নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার এই ধারা চলতে থাকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরও। এক বছরে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দুই হাজারের মতো স্মারক ধ্বংস করার পাশাপাশি মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শতাধিক।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ফ্যাসিবাদী