ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সাহস নেই মোদির

প্রথম আলো ববি ঘোষ প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:২১

চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনটি সারা বিশ্বের মনোযোগে কেড়েছে। বিশ্লেষকদের আলোচনার বড় অংশটি জুড়ে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি বিষয়ে। সাত বছর পর তিনি চীন সফরে গিয়েছিলেন। সম্মেলনের ছবিতে একসঙ্গে চীনের সি চিন পিং ও রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভারতের নরেন্দ্র মোদিকে দেখা যাচ্ছে।


এটি দুটি বয়ানকে সামনে নিয়ে এসেছে। প্রথমটি হলো—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রপ্তানি পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করার পর মোদি চীনের দিকে ঝুঁকছেন। অর্থাৎ ট্রাম্প একজন মার্কিন মিত্রকে মার্কিন প্রতিপক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। দ্বিতীয়টা হলো—তিয়ানজিনে মোদির উপস্থিতি নতুন এক বৈশ্বিক জোটের উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে চীন নেতৃত্ব দেবে আর রাশিয়া ও ভারত চীনকে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।


আমার মতে, এই দুই সিদ্ধান্তেই তাড়াহুড়া করে পৌঁছানো হচ্ছে। দুই ক্ষেত্রেই বিশ্লেষকেরা ভারতের অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। আসল ব্যাপার হচ্ছে ভারতের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।


এটা অস্বীকারের উপায় নেই যে ভারতের প্রতি ট্রাম্পের আচরণ অবমাননাকর। নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের রপ্তানি পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, তার পেছনে বড় একটা কারণ তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভ।


ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করানোর মিথ্যা কৃতিত্ব দাবি করার ট্রাম্প চাইছিলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবে এবং তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেটা করেছিলেনও, কিন্তু মোদি সেটা করেননি। এতে ট্রাম্প ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।


এরপরই ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্কের খড়্গ নেমে আসে। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত অর্থনীতি’ বলে তিনি তাচ্ছিল্য করেন। এতে মোদির পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বলা সেই বক্তব্য, মানে ট্রাম্প তাঁর বিশেষ একজন বন্ধু, এটা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।


কয়েক মাস ধরে নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা দাবি করে আসছিলেন, এশিয়ায় ট্রাম্পের প্রধান ভরসার জায়গা হলের তাঁদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনকে মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু এখন ট্রাম্প দেখিয়ে দিয়েছেন যে মোদি বা ভারতকে আসলে তিনি তোয়াক্কাই করেন না।


এটা মনে করা যৌক্তিক হবে যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত আলোচনাগুলো ভিন্নভাবে এগোলে, মোদি হয়তো তিয়ানজিনে যেতেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও