‘দুই বাচ্চার জন্য একটা ডিম পর্যন্ত কেনার টাকা ছিল না’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯

বাংলাদেশের শুটিংয়ে এক উজ্জ্বল নাম শারমিন আক্তার রত্না। কমনওয়েলথ শুটিং ও এসএ গেমসে সোনা জিতেছেন, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু গৌরবের বাইরের গল্পটা ভিন্ন—বিবাহবিচ্ছেদ, বাবাকে হারানো আর জীবনের নানা টানাপোড়েন। এখন দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে নতুন করে জীবনসংগ্রামে লড়ছেন।


সম্প্রতি আপনার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, দুই সন্তানকে নিয়ে একা লড়ছেন। জীবন কেমন চলছে?


শারমিন আক্তার রত্না: জীবন সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। ১৮ বছরের অভ্যাস হঠাৎ ভেঙে গেছে, ছোট দুই সন্তান নিয়ে ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে। মাহ্-নুর কাওনাঈন রূপের বয়স ৯ বছর। আফিরা কাওনাঈন রায়ার বয়স ২ বছর ৯ মাস। তবে পরিবারের সাপোর্ট আমাকে শক্ত রেখেছে। কিন্তু বাবাকে হারানোটাই আমাকে সবচেয়ে কষ্ট দেয়।


প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে আপনার পরিচয় হয়েছিল কীভাবে?


শারমিন আক্তার রত্না: সে আমরা আপন খালার সৎছেলে। আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম। ক্লাস টেনে পড়ার সময় প্রথমে মোবাইলে কিছুদিন কথা হয়েছিল, ভালো লেগেছিল। পরে বিষয়টি পরিবার জেনে যায়, বিয়ে হয় আমাদের। আমার কাছে ভালোবাসা মোহমায়ার মতো মনে হয়েছিল, যা সে অন্য কোথাও খুঁজে পেয়েছে এত বছর পর।


এখন সংসার কীভাবে চলছে?


শারমিন আক্তার রত্না: প্রথমে আর্থিক সমস্যা ছিল, এখনো আছে। বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়, এক বছর পর গত বছর ২৪ অক্টোবর তিনি মারা যান। বাবা রফিকুল ইসলাম সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে ২০০৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে গিয়েছিলেন। তিনি সাভারে ছয়তলা একটি বাড়ি করেছেন। সেখানেই আমি থাকি।


সন্তানদের খরচ কে দেন?


শারমিন আক্তার রত্না: বিবাহবিচ্ছেদের পর বাচ্চার স্কুলে ভর্তি ফিও আমার কাছে ছিল না। তাদের টুকটাক খরচ, নিজের খরচ বাবার একার পক্ষে দেওয়াটাও বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। বাচ্চাদের বাবা কোনো খরচ দিচ্ছে না বা দেয়নি। ডিভোর্সের ঘটনাপ্রবাহের শুরুর দিকে, আমার ছোট বাচ্চাটার বয়স তখন মাত্র ছয় মাস, আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। দুই বাচ্চার জন্য একটা ডিম পর্যন্ত কেনার টাকা ছিল না! আমি একেবারেই কপর্দকশূন্য, ভয়াবহ অসহায়। যদিও আমার বাবা ও শ্বশুর সাহায্য করেছেন অনেক।


জীবনের সবচেয়ে কষ্টের স্মৃতি?


শারমিন আক্তার রত্না: বাবা তখন ইউএন মিশনে অ্যাঙ্গোলাতে। দেশে বেতন আসত ফুফুর নামে। আমরা মাগুরায় থাকতাম, ফুফু ঢাকায়। ওই একটা বছর বেশ কষ্টে কেটেছে। নানাবাড়ি থেকে চাল আসত। একদিন ঘরে চাল শেষ হয়ে গেল। তখন আমরা দুজন আর মা তিনজনই থাকি আমাদের বাড়িতে। এক রাতে না খেয়ে ছিলাম, কারণ ঘরে চাল ছিল না। মায়ের কাছে টাকাও ছিল না। এমনকি নানাবাড়ি গিয়ে আম্মা যে চাল নিয়ে আসবে, সেই যাওয়ার টাকাটাও ছিল না। জীবনে একবারই এক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়েছে খাবারের অভাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও