৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা। এখন পর্যন্ত প্রায় আটশর বেশি নিহত ও আহত হয়েছে প্রায় তিন হাজার মানুষ। আফগানিস্তানের কম্পনে কেঁপে ওঠে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদসহ একাধিক এলাকা।
গত দুই বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও বাংলাদেশে অনেকগুলো ছোট-মাঝারি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ছোট ছোট এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। অথচ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি কোনো সরকার।
ভূমিকম্পপ্রবণ বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছরের শেষ দিকে ও চলতি বছরের প্রথমে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার অর্ধশতাধিক ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দেড় শতাধিক, যা আশঙ্কাজনক। ৬ কিংবা ৭ মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশে হলে প্রাণহানি ঘটতে পারে কয়েক লাখ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাপক ভূমিকম্পের ঝুঁকির মুখোমুখি। বাংলাদেশের ঘনবসতি, পুরোনো অবকাঠামো ও বিল্ডিং কোডের দুর্বল প্রয়োগ এই বিপদগুলো আরও বাড়িয়ে তুলেছে। অবিলম্বে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে মিয়ানমার, তুরস্ক, থাইল্যান্ড কিংবা আফগানিস্তানের মতো একটি ভয়াবহ দৃশ্য অপেক্ষা করছে।