অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার সংক্ষেপে এএসডি নামে পরিচিত। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যাটি সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত বিষয়। প্রারম্ভিক পর্যায়ে অটিজমের উপসর্গগুলো মা-বাবা শনাক্ত করতে পারলে শিশুকে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা যায়। আর তাই অটিজম আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত অটিজম গবেষণা ও প্রচারণামূলক দাতব্য প্রতিষ্ঠান অটিস্টিকার প্রধান নির্বাহী জেমস কুস্যাক বলেন, ‘মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে আমরা আসলে খুব বেশি কিছু বুঝতে পারি না। অটিজমের আসল কারণ খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। আমার মনে হয়, ২০ বছর আগে মানুষ যতটা ভেবেছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। অটিজম মূলত শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের একটি সমস্যা। জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়, যা সামাজিক যোগাযোগ, আচরণ ও মিথস্ক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। যদিও এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে বিজ্ঞানীরা জিনগত ও পরিবেশগত কিছু কারণকে এর জন্য দায়ী মনে করেন। মা–বাবার বয়স বেশি হলে বা গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে অটিজমের ঝুঁকি বাড়তে পারে।’