
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে ছয় ‘সুপারস্টার ফুড’
প্রথম আলো
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩:২৪
‘সুপারফুড’ শব্দটা দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কিন্তু কোনো খাবারকে সুপারফুড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। তারপরও সুপারফুড নিয়ে হইচইয়ের শেষ নেই। কিন্তু আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন এমন কিছু খাবারের তালিকা দিয়েছে, যেসবকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ‘মহাতারকা’ বা ‘সুপারস্টার’ বলা যায়। ডায়াবেটিস নেই, এমন ব্যক্তির ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কাজে আসবে এসব খাবার।
গাঢ় সবুজ শাক
- ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, আয়রন, ফোলেট আর পটাশিয়ামে ভরপুর গাঢ় সবুজ শাকে আছে পর্যাপ্ত আঁশ।
- শাকে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। খাবারের প্লেট অর্ধেকটাই আপনি ভরাতে পারেন এ ধরনের খাবারে।
শিম, মসুর, মটরজাতীয় খাবার
- শিম, মসুর, মটর, রাজমা, ছোলা, চানা—এ ধরনের খাবার থেকে আমিষ পাবেন।
- আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেট আর পটাশিয়ামও পাবেন এ ধরনের খাবারে। মজাদার নানান পদে রসনার তৃপ্তিও মিটবে।
টক ফল
- টক ফলে কেবল ভিটামিন সি নয়, থাকে ফোলেট আর পটাশিয়ামও।
- গোটা খেলে বা কেটে খেলে ফলের আঁশও পাবেন।
- যেসব ফল খোসাসহ খাওয়া যায়, সেসবের খোসা না ফেলাই ভালো।
দুধ ও টক দই
- ডায়াবেটিস হলেই যে শর্করা একেবারে বাদ দিতে হবে, তা নয়। বরং এমন শর্করা বেছে নেওয়া উচিত, যা স্বাস্থ্যকর।
দুধ ও টক দইয়ে পাবেন ক্যালসিয়াম, আমিষ, শর্করা ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। - লো ফ্যাট দুধ বা লো ফ্যাট টক দই এই রোগীদের জন্য ভালো। তবে এসবে বাড়তি চিনি থাকা চলবে না।
গোটা শস্য
- গোটা শস্য, অর্থাৎ যা পরিশোধিত নয়, তা স্বাস্থ্যকর। তাই গোটা ওট, কিনোয়া, বার্লি, গোটা গম বেছে নেওয়া ভালো।
লাল চালের ভাতও খেতে পারেন। - গোটা শস্যে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন আর ম্যাঙ্গানিজও পাবেন।
বাদাম ও বীজ
- বিভিন্ন রকম বাদাম আর বীজ খেতে পারেন রোজ।
- এক আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) বাদাম থেকেই পাবেন বেশ খানিকটা আঁশ, ম্যাগনেশিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর তেল। তাতে ক্ষুধাও মিটবে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
- সুপারফুড