You have reached your daily news limit

Please log in to continue


দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি

গত তিন বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) পরিচালিত এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এ তথ্য। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে যেখানে সাধারণ দারিদ্র্য হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, সেখানে ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশে (প্রায় ২৮ শতাংশ)। আর অতিদারিদ্র্য যেখানে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, সেখানে তা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দুই ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য বলতে হয়। এতে বোঝা যায়, বিগত সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশলগুলো ফলপ্রসূ হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, সামাজিক নিরাপত্তার ৪৪ দশমিক ৩০ শতাংশই প্রকৃত মানুষের হাতে যাচ্ছে না।

দারিদ্র্য কমাতে হলে সবার আগে এর বৃদ্ধির কারণগুলো দূর করার বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না, বাড়ছে বেকারত্ব। এর অন্যতম কারণ বিনিয়োগে মন্দাভাব। দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগ নেই বললেই চলে। অন্যদিকে বিভিন্ন কারণে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বিনিয়োগ না বাড়লে অর্থনীতির সংকট কাটবে না, বাড়বে না কর্মসংস্থান, যা দারিদ্র্য পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ পরিস্থিতির উত্তরণে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি। জোর দেওয়া দরকার কর্মমুখী শিক্ষায়। এ প্রসঙ্গে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মাঝে এখন কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেকারত্বের দুর্যোগের বাস্তবতার মধ্যে আমরা অবস্থান করছি। কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ধরনের ভাবনা এবং জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন।’ অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি এখনো লক্ষ করা যায়নি।

দারিদ্র্য বৃদ্ধির আরেকটি কারণ আয়বৈষম্য। দেশে আয়বৈষম্য প্রকট; তিন বছরে তা আরও বেড়েছে। সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন ও মধ্যম শ্রেণির মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি; কিন্তু উচ্চবিত্তের আয়ের চেয়ে ব্যয় কম। বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ করা। দুর্নীতিও দারিদ্র্য বৃদ্ধির একটি কারণ বলে মনে করি আমরা। সেবা গ্রহণে পদে পদে ঘুস দিতে হয় সেবাপ্রার্থীদের। সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২৪ সালের আগস্টের আগে যে কোনো সেবা পেতে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ পরিবারকে ঘুস দিতে হতো। এখন সেটি কমে হয়ছে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তবে সার্বিকভাবে ঘুস দেওয়া কিছুটা কমলেও বর্তমানে কোনো কাজ করতে গিয়ে ঝামেলা এড়াতে বেশি ঘুস দিতে হচ্ছে মানুষকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন