বিশ্ব-অর্থনীতিতে নেতৃত্বদানকারী দেশগুলোর কোনোটি আজ আর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল নয়। তাই ২০২৫ সালে এসে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বন্দনা অনেকের কাছে সেকেলে, বিবর্ণ ও অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে। তবে ভুলে গেলে চলবে না যে, সব দেশের মুক্তির পথ একই রকম হয় না।
একটি অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক হবে নাকি শিল্পভিত্তিক হবে—তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট সমাজের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, ভৌগোলিক বাস্তবতা, সম্পদের প্রাপ্যতা এবং বৈশ্বিক বাজারের চাহিদার ওপর। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি সাধারণত একটি জাতির প্রাথমিক বিকাশে সহায়ক হয়, কারণ এটি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে।
তবে কেবলমাত্র কৃষির ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে দক্ষ বা টেকসই হয়ে উঠতে পারে না, কেননা কৃষি উৎপাদন প্রকৃতির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বৈশ্বিক মূল্য ওঠানামা—সবকিছুই কৃষিকে সহজেই ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়।