ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির ফলে আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ৪ ট্রিলিয়ন বা ৪ লাখ কোটি ডলার কমবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেসের আর্থিক তদারকি সংস্থা। এই অঙ্ক ট্রাম্পের কর আইনের কারণে দেশটির অর্থনীতিতে যে ঘাটতি তৈরি হবে, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে দেবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, এ বছর এখন পর্যন্ত ঘোষিত শুল্কগুলো ২০৩৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মূল ঘাটতি ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার কমাবে। একই সময়ে সুদের খাতে ব্যয় আরও ৭০০ বিলিয়ন ডলার কমে যাবে।
সিবিওর পরিচালক ফিলিপ সোয়াজেল বলেন, ‘ফলে মোট ঘাটতি একসঙ্গে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার কমে যাবে।’ সিবিওর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ঘোষিত পদক্ষেপের ভিত্তিতে যে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি সাশ্রয় হবে।
এই নতুন হিসাব বলছে, শুল্ক থেকে আসা রাজস্ব ট্রাম্পের বড় ব্যয়ের আইন ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্টে’র প্রভাব অনেকটা প্রশমিত করবে। ওই আইন ২০৩৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ ৪ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অর্থনীতি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ, দেশটির ঋণ-জিডিপি অনুপাত প্রায় ১০০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ট্রেজারি বন্ডের আকর্ষণ কমিয়ে দিয়েছে। সিবিওর বিশ্লেষণে শুল্ক অর্থনীতির আকারে কী প্রভাব ফেলবে, তা ধরা হয়নি। অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, এই শুল্ক বৃদ্ধিই প্রবৃদ্ধির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।