মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ ব্যাংক খাত, অর্থনীতিতে অশনিসংকেত

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩০

দেশের ব্যাংক খাত অনেকদিন ধরেই ধুঁকছে। চলছে তারল্য সংকট। আছে ঋণ কেলেঙ্কারি, অর্থ লুট ও মানি লন্ডারিংয়ের মতো ঘটনা। অনেক ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী আমানতকারীকে টাকা দিতে পারছে না। এতে বাড়ছে আস্থার সংকট। ব্যাংকগুলোর সুদ থেকে নিট আয়ও কমে আসছে। বিপরীতে রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে খেলাপি ঋণ ও প্রভিশন ঘাটতি। সামগ্রিকভাবে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যাংক খাতের মূলধন সংরক্ষণে।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংক খাতের মূলধন সংরক্ষণের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি সেটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে নেমে এসেছে। অস্বাভাবিক হারে খেলাপি ঋণ বাড়ার ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।


বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এখন অভূতপূর্ব সংকটে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে শক্তিশালী মূলধন সংরক্ষণে সক্ষম হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়েছে।


২০২৪ সালে দেশের ব্যাংক খাতে মূলধন পর্যাপ্ততা নাটকীয়ভাবে কমে মাত্র ৩ দশমিক ০৮ শতাংশে নেমে এসেছে। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ছিল ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ হিসাবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের মূলধন পর্যাপ্ততা কমেছে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ।


এ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশের মধ্যে মূলধন সংরক্ষণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। মূলধন পর্যাপ্ততা হারের এই অস্বাভাবিক অবনমনকে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন ২০২৪’-এর তথ্য অনুযায়ী—ব্যাংক খাতের মূলধন সংরক্ষণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ২০২৪ সালে দেশটির ব্যাংক খাত মূলধন সংরক্ষণ করেছে ২০ দশমিক ৬ শতাংশ। এর আগের বছর ২০২৩ সালে দেশটির ব্যাংক খাতের মূলধন পর্যাপ্ততা ছিল ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। যা ২০২২ সালে ছিল ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও