২৫০ বছরে অ্যাডাম স্মিথের ‘দ্য ওয়েলথ অব নেশন্স’

bonikbarta.com আমেরিকা / যুক্তরাষ্ট্র মাইকেল স্পেন্স প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৩৫

আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদনের ২৫০তম বার্ষিকী পালিত হবে। তবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক গ্রন্থ, যা অর্থনীতি সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়ার ভিত্তি, সেটিও একই মাইলফলক স্পর্শ করবে ২০২৬ সালে। সে আলোচিত গ্রন্থটি হচ্ছে অ্যাডাম স্মিথের ‘দ্য ওয়েলথ অব নেশন্স’। দ্রুত অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত পরিবর্তনের এ সময়ে এর অন্তর্দৃষ্টিগুলো আবার পর্যালোচনা করা জরুরি।


স্মিথের দুটি প্রধান অন্তর্দৃষ্টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রথমটি হলো বাজারের ‘অদৃশ্য হাত’ (ইনভিজিবল হ্যান্ড) দক্ষতার সঙ্গে সম্পদ বণ্টন করে। এজন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন একটি স্থিতিশীল মুদ্রা, অর্থনৈতিক প্রভাবকদের মধ্যে আস্থা ও নৈতিকতা এবং বিশ্বাসযোগ্য সম্পত্তির অধিকার। বাহ্যিকতা বা কোনো সত্তার কার্যকলাপের অমূল্যায়িত প্রভাব এবং তথ্যগত ঘাটতি ও অসামঞ্জস্যতা অদৃশ্য হাতের দক্ষতা ও কার্যকারিতা হ্রাস করে।


তার লেখার দ্বিতীয় এবং সম্ভবত আরো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টিটি হলো কোনো অর্থনীতির দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা ‘শ্রম বিভাজন’ দ্বারা বাড়ে। বর্তমানে তা ‘বিশেষায়ন’ (স্পেশালাইজেশন) নামে পরিচিত। একটি বিশেষায়িত অর্থনীতি বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল, যা অর্থনীতির পরিধি বৃদ্ধি, শিক্ষা এবং উদ্ভাবনের জন্য বর্ধিত প্রণোদনার সুবিধা নেয়। যেহেতু বিনিময়ের একটি যুক্তিসংগত দক্ষ পদ্ধতি ছাড়া বিশেষায়ন কাজ করে না, তাই এটি স্মিথের অদৃশ্য হাতের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষায়নের অগ্রগতি যত বাড়ে, অর্থনীতির জটিলতাও তত বাড়ে।



স্মিথ যেমন উল্লেখ করেছেন, বিশেষায়ন ‘বাজারের বিস্তৃতি’ দ্বারা সীমিত। একটি ছোট বাজার বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট চাহিদা তৈরি করতে পারে না। এ কারণেই পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, যা বিস্তৃত বাজারে প্রবেশের ব্যয় কমায় আরো বেশি বিশেষায়নকে সক্ষম করেছে।



বিশেষায়নের ওপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতা হলো এর অনিবার্য ঝুঁকি। যেহেতু একটি অর্থনীতির বিশেষায়নের ধরনগুলো কাঠামোগত, তাই সেগুলো পরিবর্তন হতে সময় লাগে। সুতরাং যদি বাণিজ্য ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয় অথবা নির্দিষ্ট দক্ষতা বা শিল্পগুলো অপ্রচলিত হয়ে পড়ে (যেমন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বা চাহিদার ধরনে পরিবর্তন দ্বারা), তখন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং এমনকি পুরো অর্থনীতিকে একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যা কঠিন ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।


উনিশ ও বিশ শতকের প্রথম দিকে যখন অর্থনীতিগুলো আরো বিশেষায়িত হচ্ছিল, তখন এর সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকিগুলো কমানোর জন্য বিভিন্ন নীতি, প্রতিষ্ঠান ও শর্ত, যেমন একচেটিয়া বিরোধী আইন থেকে সামাজিক নিরাপত্তা জাল এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ধীরে ধীরে বিকশিত হয়। তবে এগুলো মূলত জাতীয় পর্যায়ের সমাধান ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশেষায়ন বৈশ্বিক রূপ নেয়।


যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি উপায় হিসেবে যা শুরু হয়েছিল, তা দ্রুত একটি ব্যাপক রূপান্তরে পরিণত হয়। ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যগুলো তাদের অপ্রতিসম অর্থনৈতিক কাঠামোসহ পরিত্যক্ত হয় এবং মার্কেন্টাইলবাদ মুক্ত বাণিজ্যের পথ করে দেয়। এর সঙ্গে যোগ হয় পরিবহন ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতি, যা ডিজিটাল বিপ্লব দ্বারা ত্বরান্বিত হয়েছে এবং বিশেষায়নের ওপর প্রথম সীমাবদ্ধতা—‘বাজারের বিস্তৃতি’ আমূলভাবে শিথিল হয়।


উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য এটি ছিল একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। তাদের মাথাপিছু জিডিপি কম হওয়ায় তারা বিশেষায়নের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার সুবিধা নিতে যথেষ্ট অভ্যন্তরীণ চাহিদা তৈরি করতে পারছিল না। কিন্তু যখন তারা বিদেশী বাজার ও প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার পেল, তখন তারা তাদের তুলনামূলক সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে দ্রুত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। এভাবে ক্রমবর্ধমান বিশেষায়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের একটি ভৌগোলিক স্থানান্তর ঘটে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও