‘দর্শকরাই আমাকে নায়করাজ বানিয়েছেন’

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৫৯

নায়ক রাজ্জাক। রূপালি পর্দায় অভিনয় করে পেয়েছেন 'রাজ' উপাধি। পাঁচ দশক সাফল্য ধরে রেখে অভিনয় করে গেছেন জীবদ্দশায়। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে অতুলনীয়। আবার সামাজিক সিনেমায়ও শীর্ষে ছিলেন। ভারতীয় ও উর্দু সিনেমার ভিড়ে এদেশের দর্শকদের হলমুখী করেছে তার সিনেমা। ঢালিউডকে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন।


২১ আগস্ট নায়করাজ রাজ্জাকের প্রয়াণ দিবস।


২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল নায়করাজের গুলশানের বাসায় তার সঙ্গে আড্ডার কিছু স্মৃতি তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।


রাজধানীর জ্যাম ঠেলে পৌঁছে যাই গুলশানে। 'লক্ষ্মীকুঞ্জ' খুঁজে পেতে বেশি সময় লাগেনি। 'লক্ষ্মীকুঞ্জ' রাজ্জাকের বাড়ির নাম। ওই এলাকার সবার অতিচেনা একটি বাড়ি।


নিচতলার বারান্দাটা সুন্দর। দেয়ালে অনেকগুলো ছবি। সব ছবিই নায়করাজের।


বেশি সময় স্মৃতিকাতর হতে পারলাম না। কেননা, ইতোমধ্যে চলে এলেন নায়করাজ রাজ্জাক। আমি উঠে দাঁড়ালাম। তিনি টি-শার্ট পরে এসেছেন। হাসি মুখে বললেন, 'ইয়াংম্যান, দাঁড়িয়ে কেন? বসো।'


তিনি বসলেন, আমিও বসলাম।


শুরুতেই বললেন, 'আমার সিনেমা প্রথম কবে দেখেছ?'


বললাম, স্কুলজীবনে। প্রাইমারি স্কুলে পড়ি তখন। সিনেমার নাম 'পুত্রবধূ'।


খুশি হলেন। বললেন, 'বলো কী জানতে চাও?'


বললাম, কোটি কোটি মানুষের পছন্দের নায়ক আপনি। এই সময়ে এসে কী স্বপ্ন দেখেন?


তিনি বললেন, 'আমি জানি এদেশের মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। আমাকে পছন্দ করেন। তাদের ভালোবাসাই সব। তবে, দেশে যদি ১৭ কোটি মানুষ থাকে, আগামীতে ১৮ কোটি হবে। ১৮ কোটি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে মরতে চাই।'


দর্শকদের নিয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই।


বললেন, 'দর্শকরাই আমাকে নায়করাজ রাজ্জাক বানিয়েছেন। দর্শকদের জন্যই আমি। এতদূর আসতে পেরেছি তারা ভালোবেসেছেন বলেই। দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিলে এতদূর আসতে পারতাম না। কাজেই, সব কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা তাদের প্রতি।'


আবারও চা এলো। তিনি বললেন, 'চা নাও?'


চা খেতে খেতে জানতে চাইলাম, কখনো হতাশ হয়েছেন?


তিনি হেসে বললেন, 'সবার জীবনেই কম-বেশি হতাশা আসে। সুখ-দুঃখ আর আনন্দ-বেদনা নিয়েই জীবন। আমি হতাশাকে স্পর্শ করতে দিইনি। স্বপ্ন দেখেছি। স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে গেছি। সততা নিয়ে ও পরিশ্রম দিয়ে দিনের পর দিন কাজ করেছি। একসময় সফলতা পেয়েছি।'


জানতে চাইলাম, তার সময়ের নায়কদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল।


বললেন, 'মধুর সম্পর্ক ছিল। খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার সময়ে এবং কিছু পরে যারা নায়ক হয়েছেন, তাদের সঙ্গে কখনোই নেতিবাচক সম্পর্ক ছিল না। তাদেরকে আমি পছন্দ করতাম। কাছে টেনে নিতাম। সুযোগ দিতাম। প্রায়ই বলতাম, তোমরাও কাজ করো। আমি একা তো সব কাজ করতে পারব না। মিলেমিশে কাজ করেছি।'


একসময় প্রশ্ন করি, নায়ক হওয়ার জন্য কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে আপনাকে?


তিনি বললেন, 'অনেক। অনেক সংগ্রাম করেছি নায়ক হওয়ার জন্য। দিনের পর দিন লেগে থেকেছি। কত মানুষের কাছে গিয়েছি অভিনয়ের জন্য! পিছু ফিরিনি কখনো। অভিনয় ছিল আমার নেশা, ভালোবাসা, সবকিছু।'


আরও অনেক গল্প হয়েছিল সেদিন। একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে কথা শুনছিলাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও