যে লক্ষণটি খেয়াল রাখবেন
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি থেকে জানা গেল, যাঁদের হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর বা স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে, তাঁদের মাঝারি বা তীব্র ধাঁচের শরীরচর্চার সক্ষমতা কমে যেতে পারে বহু বছর আগে থেকেই।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে থেকেই এই লক্ষণ প্রকাশ পায়। আর হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর বা স্ট্রোকের পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে এই সক্ষমতা অনেক বেশি কমে যায়।
গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ৩ হাজার ৬৮ জন ব্যক্তির মধ্যে পরবর্তী সময়ে হার্ট অ্যাটাক বা করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হার্ট ফেইলিউর বা স্ট্রোক হয়েছিল ২৩৬ জনের। তাঁদের অসুস্থতার আগের বছরগুলোর লক্ষণকে বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকেরা। তুলনা করে দেখেছেন অন্যদের সঙ্গে। আর তাতেই উঠে এসেছে এ তথ্য।
কোনটা ভয়ের, কোনটা ভয়ের নয়
অনভ্যস্ত ব্যক্তি শরীরচর্চা শুরু করতে গিয়েই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন। হাঁপিয়ে উঠতে পারেন মাঝারি ব্যায়াম করতে গিয়ে। এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।
অনভ্যস্ততা কাটিয়ে ওঠার উপায় আছে। ধীরে ধীরে নিজেকে ব্যায়ামে অভ্যস্ত করে তুলুন। প্রশিক্ষকের সহায়তা নেওয়া ভালো।
হঠাৎ কোনো একটা দিন ব্যায়াম করতে গিয়ে ক্লান্ত বা অবসন্ন লাগলে সেটিকেও ভয়াবহ কোনো সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করবেন না। বিশ্রাম নিন।
ব্যায়ামের একটা ধারা নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে নেওয়ার পরে যদি ব্যায়ামের সক্ষমতা ক্রমাগত কমতে থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কেন আপনি আগের মতো ব্যায়াম করতে পারছেন না, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তা খুঁজে বের করবেন তিনি। এটি কি কেবল বয়সের কারণে শারীরিক সক্ষমতা কমে যাওয়া, নাকি হৃৎপিণ্ডের কোনো সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে, তা বের করা প্রয়োজন।