You have reached your daily news limit

Please log in to continue


‘এই গাড়িতেই নিতে হবে, আর কোনো গাড়ি এই লাশ নেবে না’

জরুরি চিকিৎসার জন্য দ্রুত ও নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছাতে মানুষ অ্যাম্বুলেন্স খোঁজেন। এমন ‘জরুরি মুহূর্তকে’ পুঁজি করে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো ঘিরে প্রকাশ্যে গড়ে উঠেছে ‘অ্যাম্বুলেন্সের সিন্ডিকেট’। এই সিন্ডিকেট বা চক্র রোগীর স্বজনদের জিম্মি করে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে।

রোববার (১৭ আগস্ট) দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরের পাঁচটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এই পাঁচ শহর হলো রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ।

বড় এসব হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ‘অপ্রতুলতা’ রয়েছে। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর মানুষকে নির্ভর করতে হয়। কিন্তু প্রতিটি হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের দাপটের কথা জানিয়েছেন অনেকে। প্রকাশ্যে এমন তৎপরতা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

‘বাইরের’ অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করায় গত বৃহস্পতিবার রাতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রোগী নিতে বাধা দেন সিন্ডিকেটভুক্ত অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা অবস্থায় শ্বাসকষ্ট ও নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। হাসপাতালকেন্দ্রিক অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের এমন নির্মমতা দেশে এর আগেও ঘটার অভিযোগ রয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুতে বিষয়টি আবারও সামনে এল। আলোচিত এ ঘটনায় শিশুটির বাবার করা মামলায় গত শনিবার প্রধান আসামি সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নম্বর ফটকে স্বজনের মরদেহ বাড়ি নিতে অ্যাম্বুলেন্স খুঁজছিলেন আবদুস সামাদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী থেকে এসেছিলেন। হঠাৎ স্বজনের মরদেহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখে এগিয়ে গিয়ে তিনি জানতে চান, ‘আমি তো কোনো অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াই করিনি, আপনারা মরদেহ তুলছেন কেন?’

তখন চালক ও তাঁর সঙ্গীরা জানান, তাঁরাই মরদেহ নিয়ে যাবেন। ভাড়া কত জানতে চাইলে চালক সরাসরি আট হাজার টাকা দাবি করেন। আবদুস সামাদ বোঝানোর চেষ্টা করেন, এই দূরত্বের জন্য সর্বোচ্চ ভাড়া তো চার হাজার টাকা হবে। তিনি আট হাজার টাকায় যাবেন না, অন্য গাড়ি নেবেন। তখন চালকের সাফ জবাব, ‘এই গাড়িতেই নিতে হবে। এখান থেকে আর কোনো গাড়ি এই লাশ নেবে না।’ উপায় না দেখে অসহায় আবদুস সামাদকে সেই সিন্ডিকেটের কাছে হার মানতে হয়। তিনি বলেন, ‘কী আর করা, লাশ নিয়ে তো আর অপেক্ষা করা যায় না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন