আলাস্কায় জিতেছেন পুতিন, এখন জেলেনস্কি ও ইউরোপের আরও বিপদ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৫৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে চুক্তির মধ্যস্থতায় পারদর্শী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে থাকেন। এমনকি গত শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি চলাকালেও ট্রাম্প বলেছিলেন, পুতিন তাঁকে অনেক মূল্যায়ন করেন এবং এ কারণেই রুশ নেতা ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ট্রাম্পের এসব বক্তব্য কিছুটা সরলমনা মনে হয়েছে।


পুতিন আবেগের বশে কোনো রাজনৈতিক ও সামরিক সিদ্ধান্ত নেন না। তিনি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া প্রশ্নে তাঁর দীর্ঘদিনের দাবিও ছেড়ে দেননি। এ অঞ্চলগুলো হলো দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক (এ দুটি অঞ্চল নিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দনবাস গঠিত) এবং দক্ষিণে জাপোরিজঝিয়া ও খেরসন। অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্যসংখ্যার দিক থেকে রাশিয়া অনেক এগিয়ে থাকার পরও পুতিন এখন পর্যন্ত কেবল লুহানস্ক তথা একটি অঞ্চলকেই প্রায় পুরোপুরি দখল করতে পেরেছেন। তারপরও তিনি তাঁর অবস্থানে অনড়।


পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের কয়েক দিন আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়ার অর্থনীতিতে ‘মন্দাবস্থা’ চলছে এবং তেলের দামও নিম্নমুখী। আর এসব কারণে রাশিয়াকে যুদ্ধ থামাতে হবে। এ যুদ্ধ নিশ্চিতভাবেই রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে। যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হার, শ্রমিকসংকট এবং বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগের অভাব। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রধান উৎস হলো তেল বিক্রি। চলতি বছর দাম কমার কারণে তেল বিক্রির আয় ১৮ শতাংশ কমে গেছে। এমনকি মন্দার কথাও শোনা যাচ্ছে।


তবে এসব চাপের পরও পুতিন তাঁর যুদ্ধ পরিকল্পনা পাল্টাননি। ট্রাম্পের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তিনি উপেক্ষা করেছেন। অথচ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সঙ্গে সঙ্গে এ প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলেন। শীর্ষ বৈঠকের আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন—রাশিয়া ছাড় না দিলে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং রাশিয়াকে ‘গুরুতর পরিণাম’ ভোগ করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও