বড় গ্যাসফিল্ডের উৎপাদন কমছে, বাড়ছে শঙ্কা

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৪২

দেশে প্রতিনিয়ত কমছে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন। এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। যা উদ্বিগ্ন করে তুলেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এখনো ফলপ্রসূ কিছু হয়নি। এ খাতে উন্নতি আনতে হলে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


তারা বলছেন, বিগত সরকার প্রাকৃতিক তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বদলে গুরুত্ব দিয়েছিল আমদানিতে। তাই এখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।


পেট্রোবাংলা বলছে, চলতি বছর দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি। গত ১৩ আগস্ট পর্যন্ত তারা সরবরাহ করতে পেরেছে (এলএনজিসহ) ২ হাজার ৮৩২ মিলিয়ন ঘনফুট।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস খাত নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে দেশ বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।


গ্যাস উৎপাদনের চিত্র


পেট্রোবাংলার তথ্য বলছে, দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি মালিকানাধীন মোট ২২টি গ্যাসফিল্ড থেকে চলতি বছর গড়ে উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যেখানে গত বছর একই সময়ে উৎপাদিত হয়েছে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বৃহৎ গ্যাসফিল্ড হিসেবে পরিচিত তিতাসের ২৬টি গ্যাসকূপ থেকে এ বছর উৎপাদন হচ্ছে ৩১৯ মিলিয়ন ঘনফুট, গত বছর যেখানে উৎপাদিত হয়েছে ৩৭৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বছরের ব্যবধানে হবিগঞ্জ গ্যাসফিল্ডের উৎপাদন ১১৬ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে নেমে এসেছে ৯০ মিলিয়ন ঘনফুটে। রশীদপুর গ্যাসফিল্ডের উৎপাদনও ৬৯ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে নেমে এসেছে ৬১ মিলিয়ন ঘনফুটে। তবে কিছু গ্যাসকূপের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হলেও তা যথেষ্ট নয়।


অন্যদিকে, শেভরনের মালিকানাধীন দেশের বৃহৎ গ্যাসফিল্ড বিবিয়ানার উৎপাদনও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত বছর গড়ে এই ফিল্ড থেকে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুটে। এ ছাড়া জালালাবাদ গ্যাসফিল্ডের উৎপাদন কমে ১৫২ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ১৩৭ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও