
নোটবুকএলএম ব্যবহারে ৮টি এক্সপার্ট টিপস
গুগলের তৈরি নোটবুকএলএম এখন গবেষণা, পড়াশোনা কিংবা যে কোনো প্রোজেক্টে কাজের জন্য অসাধারণ ভার্চুয়াল সহকারী। এটি আপনার নোট, ডকুমেন্ট, ওয়েবসাইট এমনকি ইউটিউব ভিডিও থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে বিশ্লেষণ ও সংক্ষেপে সাজিয়ে দেয়। ফলে যে কোনো বিষয়ে গভীরভাবে জানতে ও বুঝতে অনেক সহজ হয়।
গুগলের নোটবুকএলএম টিমের সদস্য লেখক স্টিভেন জনসন জানিয়েছেন, “সরাসরি বললে নোটবুকএলএম হলো বুঝতে সাহায্য করার টুল।”
অর্থাৎ তথ্য শুধু সংরক্ষণ নয়, বরং তার ভেতরের লুকানো সম্পর্ক, বিশ্লেষণ এবং মূল বিষয়গুলো তুলে ধরাই এর কাজ।
চলুন দেখে নেই, এক্সপার্টদের দেওয়া ৮টি টিপস। যা দিয়ে সহজেই শুরু করতে পারবেন নোটবুকএলএম ব্যবহার -
১. আপনার সাম্প্রতিক ডকুমেন্ট দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন
শুরুতে আপনার ১০টি সাম্প্রতিক ডকুমেন্ট আপলোড করুন। সেগুলো এলোমেলো হলেও সমস্যা নেই। এরপর প্রশ্ন করতে শুরু করুন। এতে নোটবুকএলএম কিভাবে কাজ করে এবং নতুন তথ্য বের করে আনে, তা সহজে বুঝতে পারবেন।
২. একটি ‘সবকিছুর নোটবুক’ বানান
একটি মেইন নোটবুক রাখুন যেখানে আপনার প্রতিদিনকার দরকারি তথ্য, অনুপ্রেরণামূলক উক্তি, কোম্পানির মূল ডকুমেন্ট বা ব্যক্তিগত আইডিয়া যুক্ত করবেন। পাশাপাশি নির্দিষ্ট টপিক বা প্রোজেক্টভিত্তিক আলাদা নোটবুকও তৈরি করুন। এতে কাজ হবে আরও গোছালো।
৩. বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্যকে যুক্ত করুন
অফিস বা পড়াশোনার অনেক তথ্য ছড়িয়ে থাকে বিভিন্ন ফোল্ডার, ওয়েব ট্যাব বা নোটে। নোটবুকএলএম এগুলো এক জায়গায় এনে আপনাকে সহজভাবে উপস্থাপন করবে। যেমন- কোনো প্রেজেন্টেশন বানানোর আগে গুগল ডকস, ছবি, আর্টিকেল সব একসাথে দিয়ে দিলে এটি সুন্দরভাবে সারসংক্ষেপ বানিয়ে দেবে।
৪. সাজেস্টেড প্রশ্ন দিয়ে শুরু করুন
তথ্য আপলোড করার পর নোটবুকএলএম নিজেই কিছু প্রশ্ন সাজেস্ট করবে। এগুলো আপনাকে কনটেন্ট আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। পরে আপনি নিজের মতো প্রশ্ন করতে পারবেন।