
টিকটক থেকে কীভাবে আয় করা যায়
ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে জীবনের নানা দিক। বর্তমানে বিনোদন, শিক্ষা, ব্যবসা কিংবা উপার্জনের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর প্রভাব অপরিসীম। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা একটি প্ল্যাটফর্ম হলো টিকটক। অল্প সময়ে অ্যাপটি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রথম দিকে শুধু বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হয়ে উঠেছে একটি আয়ের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
টিকটক কী
টিকটক একটি শর্ট-ফর্ম ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা ১৫ সেকেন্ড থেকে শুরু করে ৩ মিনিট পর্যন্ত ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারে। এই ভিডিওগুলোর বিষয়বস্তু হতে পারে বিনোদন, তথ্য, শিক্ষা, রান্না, জীবনধারা, কমেডি, মেকআপ, ফ্যাশনসহ নানান ধরনের।
টিকটকের অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন দর্শকের সামনে তুলে ধরে। ফলে একজন সাধারণ ব্যক্তি রাতারাতি তার প্রতিভার জোরে হয়ে উঠতে পারে ইন্টারনেট তারকা।
টিকটক থেকে আয়ের সম্ভাব্য পথ
ইউটিউবের মতো বাংলাদেশে ব্যবহারকারীদের জন্য মনিটাইজেশনের সুযোগ নেই। এই সুযোগ শুধু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, জাপান, স্পেন, ইতালি ও ইন্দোনেশিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য চালু রয়েছে। তবে বিভিন্ন উপায়ে পরোক্ষভাবে আয় করা সম্ভব।
১. স্পনসরশিপ ও ব্র্যান্ড প্রমোশন
যখন কোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রচুর ফলোয়ার ও এনগেজমেন্ট অর্জন করে, তখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য সেই ক্রিয়েটরকে পারিশ্রমিক দিয়ে ভিডিও তৈরি করায়। এটি টিকটকে আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম।
২. লাইভ গিফট ও ডোনেশন
টিকটকে লাইভে গেলে দর্শকেরা ভার্চুয়াল গিফট পাঠাতে পারে, যা পরে অর্থে রূপান্তর করা যায়। এসব গিফট কিনতে হয় টিকটকের কয়েন ব্যবহার করে, যার মূল্য রয়েছে।
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
টিকটক ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্যের লিংক শেয়ার করে সেই পণ্য বিক্রি হলে কমিশন পাওয়া যায়। এটি বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি আয়ের উৎস।