
জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ চান নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, শুধু একটা নির্বাচন বা কাউকে মন্ত্রী–এমপি বানানোর জন্য এই আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র–জনতা জীবন দেননি। তাঁরা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য রাজপথে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়েছেন নুরুল হক।
শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুরুল হক।
ফ্যাসিবাদের দোসরদের আস্ফালন এখনো দেখা যায় উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রেখেছিল ১৪ দলের শরিকেরা। তাদের একটি দল ছিল জাতীয় পার্টি। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও এখন জাতীয় পার্টির আস্ফালন আমরা দেখতে পাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, এই জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টিসহ তাদের সঙ্গে যারা জড়িত, সবার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
গণ–অভ্যুত্থানের এক বছরে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তিই বেশি উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, ‘গত এক বছরে যখন আমরা হিসাব মেলাতে যাই, তখন দেখি প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির হিসাব দীর্ঘ। এখন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের যে আওয়াজ তুলেছি, সেই রাষ্ট্র সংস্কারের জুলাই সনদের এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। সরকার যে খসড়া আমাদের দিয়েছিল, তাতে লেখা ছিল পরবর্তী দুই বছরে নির্বাচিত সরকার সেগুলো বাস্তবায়ন করবে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, শুধু একটা নির্বাচন বা কাউকে মন্ত্রী–এমপি বানানোর জন্য এই আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র–জনতা জীবন দেননি। তাঁরা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য রাজপথে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং কামান ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই ছাত্র–জনতার আকাঙ্ক্ষার পরিবর্তন ও রাষ্ট্র সংস্কার নির্বাচনের আগেই করতে হবে।’