
ঘরে-বাইরে ‘বিপদে’ নরেন্দ্র মোদি?
গুজরাট থেকে দিল্লির রাজপথে তিনি এসেছিলেন মহারাজার মান্যতা নিয়ে। দিল্লি তার কাছে খুব দূরের পথ ছিল না। গুজরাট থেকে দিল্লি—দূরত্ব প্রায় এগার শ কিলোমিটার। তবে বিধানসভা থেকে লোকসভা—অনেকের কাছে তা যোজন যোজন দূরের হলেও, তার কাছে তা যেন ছিল এক লহমার। তিনি নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
২০০১ সালে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। পরের বছর সেই রাজ্যে দাঙ্গা বাঁধলে তা দমনে ব্যর্থ হন তিনি। তখনই তার নাম জেনে যান বিশ্ববাসী।
টাইম মেশিনে চলে আসা যাক ২০১৪ সালের ভারতে। সারাদেশ তখন কেঁপেছিল 'মোদি-ঝড়ে'। বিরোধীদের ভাষায় 'মোদি-জ্বরে'। তখন তিনিই ছিলেন মহামতি-মহামহিম। তারই নেতৃত্বে বিজেপি জয় করেছিল বহুল প্রত্যাশিত 'লালকিল্লা'। তার কারিশমায় ধসে পড়েছিল ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেসের গড়; হয়েছিল সব বিরোধীর 'কিল্লা ফতেহ'। সেই সাল থেকে বিজেপি বা ভারতের রাজনীতিতে শুরু হয় 'মোদি যুগ'।
সে সময় তার কথাই ছিল মহা-ভারতের শেষ কথা। তার অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার কেউ ছিল না। তিনি ছিলেন ভূ-ভারতের শিরোমণি। কেননা, দেশটির ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছিল ৩৩৬ ও বিজেপি এককভাবে পেয়েছিল ২৮২ আসন।
নরেন্দ্র মোদির বিজয় রথ বীর-বিক্রমে এগিয়ে চলতে থাকে গোয়া থেকে গুয়াহাটি, কাশ্মীর থেকে কন্যকুমারিকা। তথা, আ-সমুদ্র হিমাচল। ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি আবির্ভূত হন 'অবতার' হয়ে। নিজেকে ভাবতে শুরু করেন 'ভারত বিধাতা'। এবার তার নেতৃত্বে বিজেপি লোকসভায় ৩০৩ আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। তার এনডিএ জোট পায় ৩৫৩ আসন।