
দু কূল ছাপিয়ে বইছে তিস্তা-দুধকুমার, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের তিস্তা এবং দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুই নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ আমন ধান ও সবজির খেত, ডুবে গেছে রাস্তাঘাটও।
গবাদিপশু ও আসবাবপত্র নিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর। কেউ কেউ পলিথিন মোড়ানো ঝুপড়ি তৈরি করে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৩০ মিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমারের পানি রেকর্ড করা হয় ২৯ দশমিক ৬৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপরে।
ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ অন্যান্য নদীর পানি বাড়লেও তা এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ৩৪ মিটার, যা বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার নিচে এবং কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৪৫ মিটার, যা বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলার তিস্তাপাড়ের ১৩ উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়ন এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমারপাড়ের ৮ ইউনিয়নের ২২০টি চর ও নদী তীরবর্তী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ভারী বর্ষণ
- পানিবন্দি
- পাহাড়ি ঢল