
উৎপাদন ও মজুদ পর্যাপ্ত, তবুও চালের দাম কেন বাড়ছে?
দেশের বাজারে প্রতিনিয়তই বাড়ছে চালের দাম। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে কেজিতে চালের দাম পাঁচ টাকা থেকে আট টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কোনোভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না চালের বাজার। উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়া, হাট-বাজার-সড়কে অব্যাহত চাঁদাবাজি, আমদানি করা চাল না আসা, সরকারের সংগ্রহ টার্গেট ফেল করা, কয়েক স্তরে হাতবদল, সরকারি মজুত কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে অব্যাহতভাবে বাড়ছে চালের দাম। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এখানে আমার একটা কথা আছে, সরকার প্রতিবছর উৎপাদন এবং মজুদের যে পরিমাণটা দেয় তা কি সঠিক? আমারতো মনে হয় মূল ঘাপলাটা এখানেই।
চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের কাছেও চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। দেশে বছরে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৮০ লাখ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে রেকর্ড ২ কোটি ১৪ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ ২১ লাখ ৪৩ হাজার ১৮৭ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৪ টন চাল ও ১ লাখ ১ হাজার ৫৩০ টন ধান মজুদ রয়েছে। সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, উৎপাদন ও মজুদের দিক থেকে চালের তেমন ঘাটতি নেই। তার পরও তিন মাস ধরে অর্থাৎ বোরোর ভরা মৌসুমেই চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। প্রশ্ন হচ্ছে, উৎপাদন ও মজুদ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও চালের দাম কেন বাড়ছে? বাজার ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের তথ্যগত অসংগতির পাশাপাশি বাজার সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।