চোখের সমস্যায় বাড়ছে কন্ট্যাক্ট লেন্সের ব্যবহার। দৃষ্টিশক্তিজনিত দুর্বলতার ক্ষেত্রে চশমার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে এই লেন্স। এটি তৈরি করা হয় পলিমিথাইল ইথা ক্রাইলেট অথবা সিলিকন হাইড্রোজেল দিয়ে।
কন্ট্যাক্ট লেন্স আয়তনে চোখের কালো অংশের চেয়ে একটু বড় হয়। এর বক্রতা এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়, যেন কর্নিয়ার ওপর প্রতিস্থাপন করলে খুব সহজেই চোখের উপরিভাগের বক্রতার সঙ্গে মিলে যায়। ফলে বাইরে থেকে দেখলে কন্ট্যাক্ট লেন্সের উপস্থিতি বোঝা যায় না। আবার ব্যবহারকারীও সাধারণত কোনো অস্বস্তি বোধ করেন না। তবে কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
ধরন ও ব্যবহারবিধি অনুযায়ী কন্ট্যাক্ট লেন্সকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন সফট লেন্স ও রিজিড গ্যাস পারমিয়েবল লেন্স। সফট লেন্স প্লাস্টিক–জাতীয় উপাদানে তৈরি। এর ব্যবহার বেশ স্বস্তিদায়ক। তবে সহজেই জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। অপরদিকে রিজিড লেন্স দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। তবে চোখের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। কর্নিয়ার সমস্যা—এস্টিগমাটিজমে এটি বেশ কার্যকর।
ব্যবহারবিধি অনুযায়ী কন্ট্যাক্ট লেন্স আবার দুই ধরনের হয়। একটি ‘ডেইলি ওয়্যার’ বা দিন শেষে খুলে ফেলতে হয়। অন্যটি ‘এক্সটেন্ডেড ওয়্যার’ বা একনাগাড়ে ৭ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে টানা বেশি দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।