বোয়িং কিনে কি যুক্তরাষ্ট্রের মন পাওয়া যাবে?

বিডি নিউজ ২৪ চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৪

বিশ্ব অর্থনীতিতে যেন হঠাৎই ঝড় উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক পাল্টা শুল্ক আরোপ করে কাঁপিয়ে দিয়েছে বৈশ্বিক বাণিজ্য কাঠামো। শুধু উন্নয়নশীল দেশ নয়—উন্নত অর্থনীতিগুলোও পড়েছে চাপে, জব্দ হয়েছে বহুসময়ের স্থিতিশীল হিসাব-নিকাশ।


‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগান আর বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র যখন আগ্রাসী অবস্থানে, তখন রপ্তানিনির্ভর বাংলাদেশের ওপরও পড়েছে সরাসরি চাপ। কারণ, আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় একটি অংশ আসে যুক্তরাষ্ট্রমুখী রপ্তানি থেকে।


এই চাপে মাথা নত না করে, বাংলাদেশ বরং পথ খুঁজছে কৌশলগতভাবে। মার্কিন প্রশাসনের মন জয় করতে শুরু হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপ—যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত শুধু একটি বাণিজ্যিক ক্রয়াদেশ নয়, বরং এতে লুকিয়ে আছে কূটনৈতিক বার্তা, বন্ধুত্বের হাতছানি—আর সম্ভবত শুল্ক কমানোর এক অলিখিত দরজার তালা খোলার চাবিও।


বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রাজনীতির খেলোয়াড় হিসেবে নিঃসন্দেহে একেবারে ছোট। বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তিগুলো যখন নিজেদের অবস্থান রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের মতো দেশ আত্মরক্ষায় বিভিন্ন কৌশলে অবলম্বন করতে বাধ্য। বোয়িং বিমান কেনা ঠিক এমনই একটি পদক্ষেপ। প্রথমত, এটি অর্থনৈতিক বিনিয়োগ হলেও এর কূটনৈতিক তাৎপর্য অস্বীকার করা যায় না।


বোয়িং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় একটি কোম্পানি, যার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও বাণিজ্য নীতি। তাই বোয়িংয়ের ব্যবসায়িক সাফল্য অনেক সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কূটনৈতিক আচরণে প্রভাব ফেলে।


বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টে (এনডিএ) স্বাক্ষর করেছে। বোঝাই যাচ্ছে, বিষয়টি শুধু বাণিজ্যিক নয়, রয়েছে রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিকও। বোয়িং বিমান কেনার পাশাপাশি গম, সয়াবিন, তুলা আমদানির উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার অংশ। এমন একটি সময়ে, যখন পাল্টা শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি হুমকির মুখে, তখন আমদানির মাধ্যমে সম্পর্ক ‘উষ্ণ’ করার এই চেষ্টা বাস্তববাদী হলেও প্রশ্ন থেকেই যায়—এতে আদৌ কোনো লাভ হবে?


যুক্তরাষ্ট্র এখন যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করছে, তা মূলত তাদের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রয়াস। দেশটির সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সে দিক থেকে বাংলাদেশ তাদের মূল সমস্যা না হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ‘সাইড এফেক্ট’ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি সবচেয়ে বেশি যায় যুক্তরাষ্ট্রেই। এই খাতে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও