সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে বিটরুট পাউডার খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে লিভারের সুস্থতায় কিংবা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক উপকরণ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই বিটরুট পাউডার খাওয়া কি আদতে নিরাপদ?
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, ‘যেকোনো খাবারের পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কেও জেনে রাখা উচিত। বিশেষ করে যে উপকরণ রোজই গ্রহণ করা হয়, সেটির ব্যাপারে অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে।
বিটরুট জন্মে মাটির নিচে। ফলে এতে বহু খনিজ উপাদান প্রবেশ করতে পারে। বিটরুটে এমন অনেক উপাদানই থাকে, যা নিয়মিত গ্রহণ করলে কারও কারও জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া বাজারের সব বিটরুট পাউডার মানসম্মত কি না, সেটিও বিবেচনার বিষয়।’
সবজি হিসেবে সালাদ করে বিটরুট খাওয়া যেতে পারে, যদি কোনো বিশেষ কারণে তা খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা না থাকে। তাহলে বিটরুটের আঁশসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদানও ঠিকঠাক পাওয়া যাবে। মূলত পাউডার বা রস হিসেবে রোজ বিটরুট গ্রহণ করার ক্ষেত্রেই সতর্কতা প্রয়োজন বলে জানালেন এই পুষ্টিবিদ। নিয়মিত বিটরুট পাউডার খেলে কী ধরনের ঝুঁকি রয়েছে, সে সম্পর্কে জানালেন তিনি।
- বিটরুট পাউডার মানসম্মত না হলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আপনি যে বিটরুট পাউডার গ্রহণ করছেন, সেটি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদিত কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন। তাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক বা ভেজাল থাকলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। বিটরুটের কৌটার গায়ে পুষ্টি উপাদানের তথ্য দেওয়া আছে কি না, তা দেখে নিন।
- রোজ বেশ খানিকটা বিটরুট গ্রহণ করলে সেটিতে থাকা যেকোনো খনিজ উপাদানের আধিক্য দেখা দিতে পারে আপনার দেহে। তাই বিটরুট পরিমিত পরিমাণে অন্য ফল বা সবজির সঙ্গে খাওয়া ভালো।
- বিটরুট রস হিসেবে খেলে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা হয়, তখন কিছু মানুষের ক্ষেত্রে রক্তে চিনি বা ট্রাইগ্লিসারাইড নামক চর্বির মাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঝুঁকি বেশি।