
নারী প্রার্থী ক্রমে ১০০ হবে প্রতি নির্বাচনে বাড়বে ৫%
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব কেমন হবে, তা নিয়ে অবশেষে একটি সিদ্ধান্তে এসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। নারী আসন ১০০-তে উন্নীত করার পক্ষে রাজনৈতিক মতৈক্য হলেও বেশির ভাগ দল ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে। সংলাপে কিছু দল সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে এবং কিছু দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। এই অবস্থায় বিদ্যমান ৫০ সংরক্ষিত নারী আসন রাখার পাশাপাশি জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৩০০ সংসদীয় আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গতকাল ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে নারী আসন নিয়ে আলোচনার পর এসব সিদ্ধান্ত দেয় কমিশন। পরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে কমিশনের প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, ১২টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া দিতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—অ্যাটর্নি জেনারেল; জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ; তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য; বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান; আইন কমিশনের চেয়ারম্যান; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর; বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য; এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য; বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য; সশস্ত্র বাহিনীসমূহের (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী) প্রধান, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগ।
নারী আসনে নিয়ে বারবার প্রস্তাব পরিবর্তন: সংসদে নারী আসন ১০০-তে উন্নীত করার পক্ষে রাজনৈতিক মতৈক্য হলেও বেশির ভাগ দল ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে। দলগুলোর অনাগ্রহের কারণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বেশ কয়েকবার প্রস্তাবে সংশোধনী আনলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।