
মৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি
এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক সংস্কারের সব প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। এর মধ্যে দলগুলোর ঐকমত্যের দলিল বা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা করার দাবি উঠেছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার লক্ষ্যে ছয়টি কমিশনের যেসব প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হবে, সেগুলো নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে। ৩১ জুলাইয়ের (আজ বৃহস্পতিবার) মধ্যে এই সনদ তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের। গত সোমবার দলগুলোকে সনদের একটি খসড়াও দেওয়া হয়েছিল। তবে সে খসড়ায় সনদ বাস্তবায়নের যে পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশ কিছু দলের আপত্তি আছে। গতকাল বুধবার ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি।
গতকাল দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল সাতটি বিষয়। সেগুলো হলো ১. সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ চারটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপদ্ধতি; ২. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, উচ্চকক্ষের নির্বাচনপদ্ধতি ও ক্ষমতা; ৩. সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব (সংরক্ষিত নারী আসন বাড়ানো ও নির্বাচনপদ্ধতি); ৪. রাষ্ট্রপতির নির্বাচনপদ্ধতি; ৫. রাষ্ট্রের মূলনীতি; ৬. সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ এবং ৭. রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব। মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়েও এখনো ঐকমত্য হয়নি।
এর মধ্যে গতকাল পুরোপুরি ঐকমত্য না হলেও রাত নয়টার দিকে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ঐকমত্য কমিশন। আর রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে দলগুলোকে একটি ধারণাপত্র দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি, এমন কয়েকটি বিষয়ে আজ ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
- ট্যাগ:
- রাজনীতি
- ঐকমত্য
- রাষ্ট্র সংস্কার